সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। প্রধান বক্তা ছিলেন এম মনসুর আলীর সন্তান ও রাজনৈতিক উত্তরসূরী স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এসময় প্রধান অতিথি শহীদ এম মনসুর আলীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘শহীদ এম মনসুর আলীর জন্ম শতবার্ষিকী পালন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। মনসুর আলীর সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সখ্যতা ছিল নজিরবিহীন। তার ওপর বঙ্গবন্ধুর ছিল অবিচল আস্থা ও অগাধ বিশ্বাস। এ জন্যই বঙ্গবন্ধু তাকে দেশের প্রধানমন্ত্রিত্বসহ ১৬টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘বাবার মুখ শেষবারের মতো দেখতে পারিনি। তারপরও গর্ব করি। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও দেশের সঙ্গে কখনও বেঈমানি করেননি। নিজের জীবন দিয়ে তা প্রমাণ করেছেন।’
শহীদ মনসুর আলী স্মৃতি সংসদ আয়োজিত কাজীপুরের এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংসদের আহবায়ক ও সিরাজগঞ্জ চেম্বার কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য। সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সংসদ সদস্য গাজী আমজাদ হোসেন মিলন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর স্ত্রী বেগম লায়লা নাসিম, সংসদ সদস্য সেলিনা বেগম স্বপ্না, সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন প্রমুখ।
এর আগে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুসহ অতিথিরা কুড়িপাড়ায় শহীদ এম মনসুর আলীর বাড়িতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন।
শহীদ এম মনসুর আলীর জন্ম শতবার্ষিকীতে তার নির্বাচনি এলাকায় শহীদ মনসুর আলী কল্যাণ ট্রাস্ট, মনসুর আলী স্মৃতি সংসদ, মনসুর আলী পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন দুই দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করেছে। সিরাজগঞ্জ সদরের কুড়িপাড়ায় শহীদ এম মনসুর আলীর জন্ম হলেও তার নির্বাচনি এলাকা ছিল কাজীপুর। মনসুর আলীর জন্ম শতবার্ষিকীতে তাই কাজীপুরেও ছিল উৎসবের আমেজ।
আরও পড়ুন-
‘ত্বকী, চঞ্চল হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে না.গঞ্জ কলঙ্কমুক্ত হবে না’
আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী ও সমালোচকদের শত্রু মনে করি না: মতিয়া চৌধুরী
/টিআর/