নড়াইলে লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ

নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ খেলার মাঠে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একলাখ মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়েছে। এ সময় সম্মিলিত কণ্ঠে পরিবেশন করা হয়  ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি।’ একুশ উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়। এছাড়াও এসময় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের শিল্পীরা গণসঙ্গীত পরিবেশনসহ কবিতা পাঠ করেন।
লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণসন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন উদ্বোধন করেন, ভাষা সৈনিক রিজিয়া খাতুন ও বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেসা। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম, নড়াইল পৌরসভার মেয়র মো. জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, পৌরসভার সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিন খান নিলু।

নড়াইল একুশ উদযাপন পর্ষদের আহ্বায়ক প্রফেসর মুন্সী হাফিজুর রহমান জানান, ‘অন্ধকার থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিবছরের মতো এবারও সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ খেলার মাঠে এক লাখ মোমবাতি জ্বালিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়।

লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণসন্ধ্যা সোয়া ৬টার পরপরই মোমবাতির আলোতে আলোকিত হয়ে উঠে বিশালাকৃতির এ মাঠ। মোমবাতির আলোর মাধ্যমে শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বাংলা বর্ণমালা, আল্পনা ও পাখিসহ গ্রাম-বাংলার নানা এতিহ্য তুলে ধরা হয়। এসময় হাজার হাজার লোক উপস্থিত ছিলেন। নড়াইলবাসী গত ১৯ বছর ধরে এভাবেই ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করে আসছে।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট জেলা শাখার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শামীমুল ইসলাম টুলু জানান, নড়াইলে একুশ উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে ১৯৯৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে এভাবেই ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হচ্ছে।

/জেবি/  

আরও পড়তে পারেন : মুক্তিযোদ্ধা তালিকা: সোনাতলায় পাঁচবারের কমান্ডারসহ ১০২ জন বাদ