হিলি স্থলবন্দরে ভারত ও বাংলাদেশের কাস্টমস কর্মকর্তাদের বৈঠক

হিলি শুল্ক স্টেশনদিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে এবং বন্দরের বিরাজমান সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দুই দেশের কাস্টমস কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। হিলি স্থলবন্দর শুল্কস্টেশন কর্মকর্তাদের আয়োজনে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মো. ফখরুল আমিন চৌধুরী।
হিলি স্থলবন্দর শুল্কস্টেশন কর্মকর্তাদের আহ্বানে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় ভারতের হিলি কাস্টমসের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে প্রবেশ করেন। এসময় প্রতিনিধি দলকে সীমান্তের শুন্যরেখায় হিলি কাস্টমসের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে প্রতিনিধি দলটি হিলি স্থলবন্দরের পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডে কাস্টমসের সহকারী কমিশনারের রুমে এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠক শেষে বিকাল ৩টায় ভারতীয় প্রতিনিধি দলটি একইপথ দিয়ে ভারতে চলে যান।
বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন ভারতের মালদা কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (এসি) সুকুমার ঘোষ, হিলি কাস্টমসের সুপারিনটেনডেন্ট সন্তোষ রায়, ইন্সপেক্টর সৌমেন মন্ডল ও শংকর সিং। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. ফখরুল আমিন চৌধুরী, রাজস্ব কর্মকর্তা ফখর উদ্দিন ও মাকছুদুর রহমান।
বৈঠক শেষে মো. ফখরুল আমিন চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর থেকে ভারতীয় খালি ট্রাকগুলো বের হয়ে তাদের নিজ দেশে প্রবেশ করতে গেলে বাড়তি সময় লাগে। এর ফলে ভারত থেকে সময়মতো পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে পারে না। এছাড়াও দেরিতে ট্রাক প্রবেশের ফলে বন্দরের ভেতরে ও বাইরে তীব্র যানজট তৈরি হয়। এসব সমস্যার কারণে দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানিতে জটিলতা দেখা দেয়। এসব জটিলতা নিরসনের উপায় নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি, এসব সমস্যা দূর হবে।’

আরও পড়ুন-

তৈরি হয়নি সেতু, গ্রামবাসীরা বানালেন বাঁশের সাঁকো

স্কলার্সহোম পরির্দশন করেছে র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট

দুর্নীতি-অনিয়ম: বেরোবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

/টিআর/এমএ/