মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘সরকার সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর হস্তক্ষেপ করছে। বাংলার মানুষের এখন কথা বলার অধিকার নেই। জঙ্গির কথা বলে মিথ্যা মামলা দিয়ে অনেককেই হয়রানির শিকারে ফেলা হচ্ছে। তাই এই সরকারকে পরিবর্তনের কোনও বিকল্প নেই। তা না হলে দেশের নাগরিকা কোনও অধিকার ফিরে পাবে না।’
বিএনপির মহাসচিবের ভাষ্য, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে ভারত সফরে গিয়ে অনেক কিছু নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ফিরে এসেছেন শুন্য হাতে। আমরা তিস্তার পানি পাই না। আমাদের হাওরে এখন বন্যা। উজান থেকে পানি আসায় অসংখ্য কৃষক অসহায় হয়ে পড়েছে। ভারতীয় বাঁধগুলো ছেড়ে দেওয়ার কারণে এই সমস্যা হয়েছে। সুতরাং সরকারকে বিদায় জানানোর জন্য ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলনের কোনও বিকল্প নেই। এই আন্দোলনের শক্তি ছাত্রদল।’
এদিনের সম্মেলন উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান। আলোচনা সভায় ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদ আলম লাবুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সোহাগ।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ এপ্রিল বিকালে হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন,‘সব সরকারের আমলেই বিচার বিভাগের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ চলে আসছে। প্রশাসন কখনোই চায় না বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে চলুক। অথচ বিচার বিভাগ প্রশাসনেরও নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। কিন্তু আমলাতন্ত্র সবসময় বিচার বিভাগকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে।’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিজ বিভাগে নিরাপত্তা না পেলে বিচার বিভাগের কাছে আসেন। বিচার বিভাগ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। শুধু টাকা থাকলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নয়নের জন্য দুর্নীতি প্রতিরোধ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে।’
/জেবি/জেএইচ/
আরও পড়ুন-
প্রশাসন চায় না বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করুক: প্রধান বিচারপতি