জুড়ীতে ওএমএসের ডিলার বাড়ানোর দাবি

মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় খোলাবাজারে চাল বিক্রির (ওএমএস) ডিলারের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।
জুড়ী উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলের কারণে এপ্রিল মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অকালবন্যা দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য অধিদফতরের উদ্যোগে ওএমএসের মাধ্যমে চাল বিক্রির জন্য উপজেলা সদর, জায়ফরনগর ইউনিয়ন ও পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নে একজন করে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ৪ মে থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। সপ্তাহের শনিবার বাদে বাকি ছয় দিন প্রত্যেক ডিলার তাঁদের বিক্রয়কেন্দ্রে এক মেট্রিক টন করে চাল বিক্রি করেন। প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারেন। সে হিসাবে প্রতিদিন ২০০ মানুষের কাছে চাল বিক্রি সম্ভব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধু জায়ফরনগর ও পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নে ওএমএসের ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখনও সাগরনাল, ফুলতলা, পূর্ব জুড়ী ও গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নে কোনও ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ কারণে ওই সব ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা কম দামে চাল কিনতে পারছেন না।
জায়ফরনগরের ইউপি চেয়ারম্যান মাছুম রেজা বলেন, বন্যায় তাঁর এলাকায় হাকালুকি হাওরের সব বোরো ধান তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। ১৫-২০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউনিয়নে মাত্র একজন ওএমএসের ডিলার আছেন। প্রতিদিন সেখানে এক মেট্রিক টন চাল বিক্রি হয়। কিন্তু চাহিদা বেশি। চাল কিনতে মানুষের ভিড় লেগে থাকে। এ অবস্থায় ডিলারের সংখ্যা বাড়ানো উচিত।
পশ্চিম জুড়ী ইউপির চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত দাস বলেন, নির্দিষ্ট স্থানের পরিবর্তে ডিলাররা একেক দিন একেক এলাকায় চাল বিক্রি করলে সব এলাকার দুর্গত মানুষ এ সুবিধা পেত।
গোয়ালবাড়ীর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন আহমদ ও সাগরনালের ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সরকারিভাবে দুর্গত মানুষের জন্য যে ত্রাণ পাওয়া যাচ্ছে তা অপ্রতুল। ত্রাণ পেতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
জুড়ীর ইউএনও মিন্টু চৌধুরী বলেন, জুড়ী উপজেলার বন্যাদুর্গত ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে বাদ পড়া চারটি ইউনিয়নে ডিলার নিয়োগের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।  ডিলারকে নির্ধারিত স্থানের পাশাপাশি সপ্তাহে তিন দিন জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভূঁয়াই গ্রামে এবং পশ্চিম জুড়ীর ডিলারকে সপ্তাহে তিন দিন একই এলাকার কালনীগড় গ্রামে চাল বিক্রি করতে বলা হয়েছে।
/টিএন/