বন্যার পানি কমছে, এখনও পানিবন্দি ৩ লাখ মানুষ

মৌলভীবাজারে পানিবন্দি মানুষমৌলভীবাজারের কুশিয়ারা নদীর পানি কমে যাওয়ায় হাকালুকি হাওরের পানিও কমছে। পাশাপাশি কমছে জেলার অন্যান্য হাওর ও নদীর পানি। এতে সার্বিকভাবে জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনও পানিবন্দি হয়ে রয়েছেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড আশা করছে, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে হাকালুকি হাওরের আশপাশের অঞ্চলে বন্যার পানি একেবারে কমে যাবে।
জেলার কুশিয়ারা নদী, হাকালুকি, কাউয়াদীঘি ও হাইল হাওরে পানি বেড়ে যাওয়ায় পাঁচ উপজেলা— বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া, রাজনগর ও সদর উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নে বন্যা হয়। এখন বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও এখন ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি রয়েছে। ফলে পাঁচ উপজেলার তিন লাখেরও বেশি মানুষের দুর্ভোগ কমছে না।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ইন্দ্র বিজয় শংকর চক্রবর্তী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, পানি যেভাবে কমতে শুরু করেছে, তাতে সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে হাকালুকি হাওরের বন্যার পানি একেবারে কমে যাবে।
পানিতে ডুবে গেছে টিউবওয়েলএদিকে, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জেলার সাতটি উপজেলার দুইটি পৌরসভা ও ৩৫টি ইউনিয়নে সাড়ে তিনশ গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৮০ জন মানুষ, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৫৫ হাজার ২৬৭টি। বন্যায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫২৫টি বাড়ি, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছয় হাজার ১০৮টি বাড়ি। জেলার ২৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে সাড়ে পাঁচশ পরিবার।
জেলা প্রশাসন থেকে আরও জানানো হয়, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আড়াইশ। আর ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ পাঁচ হাজার ৬৪৩ হেক্টর।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিডি) মো. শাহাজাহান জানান, দুই দফা বন্যায় জেলার বন্যায় আউশ ও রোপা আমনের মোট দুই হাজার ৫৫৬ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন-

আমাদের প্রশাসন মরিচা ধরা: প্রধান বিচারপতি

শিক্ষকের সঙ্গে সম্পর্কের অপবাদে স্কুলছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’

/টিআর/