গাইবান্ধায় প্রাথমিকের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত

গাইবান্ধার পানিবন্দি একটি এলাকা (ছবি- প্রতিনিধি)

ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, তিস্তার পানি কমলেও গাইবান্ধা জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। তাই জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকালে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম মন্ডল বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আমিনুল ইসলাম মন্ডল জানান, ১৯ আগস্ট থেকে জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বন্যার কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। বন্যার পানি কমলে পরীক্ষা হবে।

তিনি আরও জানান, বন্যার কারণে জেলার মোট ২৫৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে ডুবে রয়েছে, আর ৪৬টি বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এদিকে, গত আট দিনে বন্যার পানিতে জেলার সাত উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বির্স্তীণ এলাকা প্লাবিত হয়। পানিবন্দি হয়ে পড়েন ৪ লাখেরও বেশি মানুষ।

তবে প্রশাসন সূত্র বলছে, বন্যাকবলিত সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্যাপুর, পলাশবাড়ি ও সদর উপজেলার ২ লাখ ৮৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি। জেলায় মোট ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল জানান, এবারের বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য ৬শ’ ২৬ মেট্রিক টন চাল ও ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এখনও মজুদ রয়েছে ৬৪ মেট্রিক টন চাল ও ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া আরও ৫শ’ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

/এমএ/