পুলিশ সুপার জানান, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ফায়ার সার্ভিস তল্লাশি চালিয়ে ওই ভবনে স্প্রিন্টার, বারুদ কিংবা বোমা তৈরির কোনও সরঞ্জামের অস্তিত্ব পায়নি বলে জানিয়েছে।
তিনি জানান, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট তল্লাশি শেষে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মামুনুর রশিদ জানান, গ্যাসের লাইন বিস্ফোরণে ছাদ ধসে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ, ডেমরা ও কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জের উপসহকারী পরিচালক নেতৃত্ব দেবেন। তদন্ত কমিটি এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সকালে কুমিল্লা হাউজের মালিক আবুল খায়েরের ছেলে ইব্রাহিমের ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে ওই বাড়ির মালিক, মালিকের স্ত্রী, কেয়ারটেকার ও কেয়ারটেকারের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ওসি জানান, কুমিল্লা হাউজ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বরাব এলাকায় অবস্থিত। ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভবনটির ছাদের একাংশ ও দেয়াল ধসে পড়েছে। এরপর থেকেই বাড়িটি ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তিনি জানান, বিস্ফোরণের পর কুমিল্লা হাউজের দেয়াল ও ছাদের একাংশ ধসে পড়ে পাশের বাড়ির ওপর।
ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ওই বাড়ি থেকে দগ্ধ দুই জনকে পুলিশি হেফাজতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।’ ওসি ইসমাইল আরও বলেন, ‘বিস্ফোরণ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এটি বোমার বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণে যারা আহত হয়েছে, তারা জঙ্গিদের সঙ্গে জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক। সকাল ৮টার দিকে তিনি কুমিল্লা হাউজের মালিক আবুল খায়ের, তার স্ত্রী করুণা খায়ের, বাড়িটির কেয়ারটেকার শরিফুল ও তার স্ত্রী নার্গিসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
আরও পড়তে পারেন: