ফতুল্লায় গৃহবধূ নির্যাতন, স্বামীসহ আটক ৩

নির্যাতনের পর গৃহবধূর চুল কেটে দিয়েছে তার স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ তানিয়া আক্তারকে নির্যাতনের পর মাথার চুল কেটে দিয়েছে তার স্বামী, দেবর ও শ্বশুর-শাশুড়ি। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে তানিয়াকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার পর চুল কেটে দেওয়া হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন এসব তথ্য জানান।

ওসি বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরে স্থানীয়দের সহায়তায় পাগলা শাহী বাজার নিশ্চিন্তপুরের স্বামীর বাড়ি থেকে নির্যাতিত গৃহবধুকে উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় স্বামী, শ্বাশুড়ি, দেবরকে।’ আটককৃতরা হলো- ওই গৃহবধু তানিয়া আক্তারের স্বামী নয়ন মিয়া (৩০), শাশুড়ি হাওয়া বেগম (৫০) ও দেবর ওসমান (২৮)।

গৃহবধূ তানিয়ার পরিবারের অভিযোগ, এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারধর করে চুল কেটে দেওয়া হয়েছে তানিয়ার।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত ছয় মাস আগে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানা এলাকার দিনমজুর আবুল হোসেনের মেয়ে তানিয়া আক্তারের (১৯) সঙ্গে জালাল সিকদারের ছেলে নয়ন মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ তানিয়া আক্তারকে তার স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূ তানিয়াকে তার স্বামী নয়ন মিয়া মারধর করে বাসা থেক বের করে দেয়। এসময় প্রতিবেশীদের চাপে তানিয়াকে আবারও ঘরে তুলে নেয় তার স্বামী। শুক্রবার সকালে নয়ন মিয়া তার মা ও ভাইকে সঙ্গে নিয়ে নিজ স্ত্রীকে মারধর করে চুল কেটে দেয়। তখন ওই গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তানিয়াকে উদ্ধার করে এবং তার স্বামীসহ তিন জনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এসময় কৌশলে পালিয়ে যায় শ্বশুর শাহজালাল সিকদার।

তবে গৃহবধুর শ্বাশুড়ি হওয়া বেগম জানান, তানিয়া আক্তারকে জিনে ধরেছে। জিনের আছর সারাতে তার চুল কাটা হয়েছে।