খুলনায় স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

খুলনাখুলনায় স্ত্রী রহিমা বেগমকে (২৪)  হত্যার দায়ে স্বামী মো. মনির হাওলাদারকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৬ অক্টোবর) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নগরীর দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত মুজিবর হাওলাদারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহেশ্বরপাশা মুন্সিপাড়া এলাকার বাসায় স্ত্রী রহিমা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী মনির হাওলাদার। স্ত্রীকে হত্যার পর মনির ঘরে বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যায়। পরে বিবেকের তাড়নায় সে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল ইসলামের আদালতে গিয়ে উপস্থিত হয় এবং ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, আদালত তার প্রাথমিক বক্তব্য শুনে দৌলতপুর থানা পুলিশকে ঘটনার বিষয়ে জানায় এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারসহ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের তালা ভেঙে গৃহবধূ রহিমা বেগমের লাশ উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় এবং আদালতকে অবগত করেন।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওইদিনই নিহতের বাবা মো. আব্দুল ওহাব মিয়া দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই দিন আসামি মনির হাওলাদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার এসআই বাবলুর রহমান খান ২০১৬ সালের ১ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৩ জন আদালতে এ মামলায় স্বাক্ষ্য দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি সুলতানা রহমান শিল্পী ও এপিপি মো. কামরুল হোসেন জোয়ার্দার।