ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়ক সংস্কারের দাবি

 

ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে ওই সড়কেই দুই ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে শ্রমিকরা। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা।

ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আবুল কাশেম জানান, সকালে ঝিনাইদহ থেকে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি ট্রাক ডাকবাংলা এলাকায় ভাঙা রাস্তায় উল্টে যায়। এতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে রাস্তার দুই পাশে যানবাহন আটকা পড়ে। এসময় বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। পরে দ্রুত সড়ক মেরামত করা হবে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের এমন আশ্বাসে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।

স্থানীয়রা জানান, ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের আমেরচারা থেকে ডাকবাংলা ত্রিমহনী পর্যন্ত সড়ক এখন মরণ ফাঁদ। এই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। রাস্তার কাজ শেষ না করে ঠিকাদার লাপাত্তা। ভালো রাস্তা খুঁড়ে এভাবে ফেলে রাখায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কটির নির্মাণ কাজ দুই বছর আগে শুরু হলেও গত দেড় বছর যাবৎ তা বন্ধ রয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষ না করে ভাঙাচোরা অবস্থায় ফেলে রাখায় সড়কটির এখন বেহাল দশা। যা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানান, বৈডাঙ্গা বাজারের পশ্চিম দিকে আদর্শ পাড়া থেকে উত্তর নারায়নপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার পুরাতন সড়ক ভেঙে নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পূর্বে শুরু করলেও আজও নির্মাণ কাজ শেষ করেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন ওই স্থানে ২-৩ টি যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে বা উল্টে যায়। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে দুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানান তিনি।

ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘দ্বায়িত্বভার গ্রহণের পর বিষয়টি শুনেছি। তাৎক্ষণিকভাবে পূর্বের ঠিকাদারের কাজ বাতিল করা হয়েছে। নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই সড়কটি চলাচলের উপযোগী হবে।’