কালীগঞ্জে দুই ভাইকে এসিড নিক্ষেপ

এসিড নিক্ষেপ

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় এসিড ছুড়ে ঝলসে দেওয়া হয়েছে দুই ভাইকে। শনিবার (২১ অক্টোবর) দিনগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের গোড়ল চৌপতি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

এসিড-দগ্ধরা হলেন, উপজেলার গোড়ল চৌপতি এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে ফরহাদ হোসেন (২৫) ও জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে নুর ইসলাম (১৬)। নুর ইসলাম সম্পর্কে ফরহাদের চাচাতো ভাই। আহতদের রবিবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ফরহাদ হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আহতদের পরিবার ও কালীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে পৌঁছেন ফরহাদ হোসেন। রাতের খাবার খেয়ে নিজের ঘরে ঘুমাতে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন চাচাতো ভাই নুর ইসলাম। রবিবার (২২ অক্টোবর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের হওয়া এক মামলায় লালমনিরহাট আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল ফরহাদের। কিন্তু রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের নিক্ষেপ করা এসিডে ফরহাদ হোসেনের মুখ, চোখ ও মাথার বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। অন্যদিকে, নুর ইসলামের বাম হাতও ঝলসে যায়। তাদের চিৎকারে পরিবারের অন্যরা ঘুম থেকে উঠে বাইরে বেরিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা ফরহাদ ও নুর ইসলামকে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল এবং পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

দুর্বৃত্তদের একজনকে চিনেছেন বলে দাবি করেন ফরহাদ ও নুর ইসলামের চাচা আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘রোগীদের চিকিৎসার ব্যাপার নিয়ে দৌড়াদৌড়ির কারণে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে দেরি হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রেম করে তানজিনা পাটোয়ারী সাথীকে বিয়ে করে ফরহাদ। পরে ফরহাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় লালমনিরহাট আদালতে হাজিরা দিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে ফরহাদ। কিন্তু তাকে এসিডে ঝলসে দেওয়া হয়েছে।’

কালীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আহসান হাবীব বলেন, ‘রবিবার দুপুরে ফরহাদ হোসেনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ ওসি মকবুল হোসেন বলেন, ‘লিখিত কোনও অভিযোগ পাইনি। ঘটনার কথা শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’