বৈষ্ণব কবি রাধারমণ দত্তের ১০২ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

রাধারমন দত্ত

বৈষ্ণব কবি রাধারমণ দত্তের ১০২ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে তার জন্মভূমি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো আমি বুক চিরিয়া, ভ্রমর কইয়ো গিয়া শ্রীকৃষ্ণ বিচ্ছেদের অনলে, জলে গিয়াছিলাম সইসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের রচয়িতা রাধারমন দত্ত।  

১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামের জমিদার পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। কিশোর বয়সে পিতৃহারা হওয়ায় জগতের সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং সৃষ্টিকর্তার স্বরূপ অনুসন্ধানে মনোনিবেশ করেন রাধারমন। এক পর্যায়ে সাধক রঘুনাথ গোস্বামীর শিষ্যত্ব ও দীক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি শাক্ত, বৈষ্ণব, শৈব ও সহজিয়া মতবাদে লেখাপড়া করে সহজিয়া মতে সাধন-ভজন শুরু করেন। শ্রীকৃষ্ণভাবে বিভোর হয়ে রাধা-কৃষ্ণর প্রেম নিয়ে গান রচনা করেন।

৮২ বছর বয়সে ১৯১৫ সালের ১০ নভেম্বর পরলোক গমন করেন তিনি। বৈষ্ণব মতবাদের অনুসারী রাধারমনকে কেশবপুর গ্রামে সমাহিত করা হয়।

জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘১০২ তম মৃত্যু দিবস পালন করতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসন ও রাধারমণ পরিষদ। রাধারমণ দত্তের স্মৃতি রক্ষায় ইতোমধ্যে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। রাধারমণ কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ৬০ শতক জায়গা ঠিক করা হয়েছে। তার পৈতৃক ভিটায় রাধারমণ দত্ত কমপ্লেক্স তৈরি করা হবে।

জানা যায়, জল-জ্যোৎস্না প্রকল্পের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলায় ২৮ জন লোককবির তিন হাজার পঞ্চাশটি গান সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাধারমণ দত্তের গানের সংখ্যা এক হাজার পঞ্চাশটি। রাধারমণ দত্তের গান সংগ্রহে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এখনও কাজ করে যাচ্ছে।