উথলী ইউনিয়নের সাবেক সদস্য আশরাফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জীবননগর থানা ওসি এনামুল হক জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি এই মাত্র শুনেছি। তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে, এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।
ঝিনাইদহ-৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, জীবননগর হাসপাতালে একটি লাশ পাওয়া গেছে বলে শুনেছি। তবে তার লাশ কোথা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই।
গ্রামবাসী জানিয়েছেন, উপজেলা সীমান্তের রাজাপুর গ্রামের মজিবর রজমান মন্দারের ছেলে কবির হোসেন মাদক চোরাচালানী। এর পাশাপাশি তিনি বিজিবির সোর্স হিসেবেও কাজ করতেন। বেশ কিছু দিন ধরে ভারতীয় মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক বিজিবি দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার কারণে ভারতীয় মাদক ব্যবসায়ীরা তার ওপর নাখোশ ছিল। রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ভারতের অভ্যন্তরের একটি কলাবাগানে তাকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও গলা কেটে ফেলে রাখে। পরে খবর পেয়ে তার স্বজনরা গুরুতর আহত কবিরকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হেলেনা আক্তার নিপা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ সময় স্বজনরা তার লাশ তড়িঘড়ি করে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন বলেন জানা গেছে।
নিহনের ছোট ভাই আব্দুল সবুর জানান, তার ভাই বিজিবির সোর্স হিসেবে কাজ করতো। যে কারণে তার ওপর ভারতীয় মাদক ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত ছিল। একারণে কৌশলে তার ভাই কবিরকে ভারতীয় সীমান্তে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।