অবসরে যাওয়া পরিচালকের বিরুদ্ধে ঠিকাদারকে চেক দেওয়ার অভিযোগ

ঝালকাঠিসদ্য অবসরে যাওয়া ঝালকাঠি বিসিক শিল্প নগরী প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও বরিশাল বিসিকের সহকারী মহা ব্যবস্থাপক অসীম কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ঠিকাদারকে চেকের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর ) রাত ৯ টা পর্যন্ত অফিস কক্ষ আটকিয়ে ঠিকাদার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নবগ্রাম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক আকন্দকে প্রায় তিন কোটি টাকার চেক দিয়েছেন তিনি।

অসীম কুমার ঘোষ গত ৩১ অক্টোবর অবসরে যান। কিন্তু অবসরে গিয়েও কিভাবে তিনি ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ করলেন এই বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান সংশ্লিষ্টরা।

তবে বিসিকের হিসাব থাকা জনতা ব্যাংকের ঝালকাঠি শাখা ব্যবস্থাপক মো. শাহাবুদ্দিন খলিফা বলেন, ‘আমরা অফিসিয়াল কোনও নিদের্শ না পাওয়া পর্যন্ত ওই (অসীম কুমার ঘোষের) স্বাক্ষরেই টাকা দেব।

জানা গেছে, ঝালকাঠি বিসিকি শিল্প নগরী প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর এই কাজের পুকুর ভরাটসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নানা রকমের দুর্নীতি হয়। পরে ওই প্রকল্প থেকে ৫২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা অত্মসাতের অভিযোগ এনে বরিশালের দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আল-আমিন দুদকে একটি মামলা করেন।

এই মামলায় ঝালকাঠি বিসিক শিল্প নগরী প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও বরিশাল বিসিকের সহকারী মহা ব্যবস্থাপক অসীম কুমার ঘোষ, সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌলশী বেলায়েত হোসেন, ঠিকাদার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নবগ্রাম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক আকন্দ ও জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক মু. মুনিরুল ইসলাম তালুকদারকে আসামি করা হয়।

এর মধ্যে প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম ও সহকারী প্রকৌলশী বেলায়েত হোসেন গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছেন।

ঠিকাদার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নবগ্রাম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক আকন্দ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে আমি কোনও চেক নেইনি। তাছাড়া বিসিকের কাছে আমার অনেক বিল পাওনা রয়েছে।’

ঝালকাঠি বিসিক শিল্প নগরী প্রকল্পের তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক ও বরিশাল বিসিকের সাবেক সহকারী মহা ব্যবস্থাপক অসীম কুমার ঘোষ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে আমি কোনও চেক দেইনি। ২৯ অক্টোবরের আগে দিয়েছিলাম। নতুন কোনও পিডি নিয়োগ না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ চাওয়ার কারণে আমি অফিসে আসি। তবে এজন্য আমি কোনও টাকা পাইনা।’