নাটোরে ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষক ও সভাপতি কারাগারে

নাটোর

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় এক মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও সভাপতিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে নাটোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী এ আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়াইগ্রাম থানার এসআই শফিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আতাউর রহমান (৩৩) বাগাতিপাড়া উপজেলার হিজলদিঘা গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে। মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল গণি (৬৫) বড়াইগ্রাম উপজেলার নওপাড়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে। আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রদের যৌন নির্যাতন এবং আব্দুল গণির বিরুদ্ধে আতাউর রহমানকে সহযোগিতার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

এসআই শফিকুর রহমান জানান, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে আতাউর রহমান এবং আব্দুল গণিকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরের পর তাদের নাটোর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক দুই আসামিকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে যৌন নির্যাতনের শিকার ৫-৬ জন ছাত্রের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

এসআই শফিকুর রহমান আরও জানান, বাদী আসাদুজ্জামান মামলায় অভিযোগ করেন, বেশ কিছুদিন ধরেই আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার ছাত্রদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করা হচ্ছিল। বিষয়টি জানানোর পরও আব্দুল গণি কোনও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। সম্প্রতি তার (আসাদুজ্জামান) নিজের ভাইসহ মাদ্রাসার ৫-৬ জন ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানানোর পর এবারও আব্দুল গণি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি। এর পরিবর্তে আব্দুল গণি আসাদুজ্জামানের ভাইকে চিকিৎসা করানোর জন্য ৫শ’ টাকা দেন। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আবুল কালামও এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

মাদ্রাসার সহ-সভাপতি ও স্থানীয় আজম আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আসাদ-উজ-জামান জানান, প্রায় ৭-৮ বছরের পুরোনো মাদ্রাসাটিতে এতিম শিশুসহ প্রায় ২শ’ শিক্ষার্থী রয়েছে। সোমবার রাতে বিষয়টি জানার পর তিনি মাদ্রাসায় গিয়েছিলেন। যৌন নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা তাকে জানায়, গত ২-৩ মাস ধরে এমন ঘটনা চলছিল। সর্বশেষ গত রবিবার এক শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হন।