লালমনিরহাটে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১০

আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ

লালমনিরহাট শহরে আওয়ামী লীগের দুইটি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপির দুইটি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত কুমার সরকারসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে শর্টগানের ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দল ও তাঁতীদলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।

আহতরা হলেন– অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত কুমার সরকার, ওসি মাহফুজ আলম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের লালমনিরহাট পৌর শাখার যুগ্ম-সম্পাদক সজল, আওয়ামী যুবলীগের পৌর শাখার সহ-সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ও সদস্য রাশেদ এবং বিএনপির সহযোগী সংগঠন লালমনিরহাট পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের মাইনুল ইসলাম সুজন, তাঁতী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও বড়বাড়ী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নূর নবী প্রমুখ।

ফটোশপের সাহায্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ‘বিকৃত’ করে ফেসবুকে পোস্ট করার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে বলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা পুলিশের

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা উস্কানি না দিলে এ ঘটনা ঘটতো না। এ ঘটনার জন্য ক্ষমতাসীনরাই দায়ী।’

লালমনিরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হারুনুর রশীদ নামে এক বিএনপি কর্মী ফটোশপের সাহায্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে শেয়ার করে। এ নিয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে তাদের দলীয় কার্যালয়ে গিয়েছিলাম আমরা। আলোচনার একপর্যায়ে হঠাৎ ওই দলের নেতাকর্মীরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার পাশাপাশি রেলওয়ে শ্রমিকলীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। প্রশাসনকে বিষয়গুলো অবহিত করা হয়েছে।’

ওসি মাহফুজ আলম বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বিএনপি কর্মীদের ইট-পাটকেলের আঘাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত কুমার সরকার, আমি ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন আহত হয়েছি। এ নিয়ে আইনি পদক্ষেপের প্রক্রিয়া চলছে।’