হিলি রেলওয়ে স্টেশন কার্যালয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় ক্রসিংয়ের জন্য হিলি রেলওয়ে স্টেশনের এক নম্বর লাইনে দাঁড়িয়েছিল গোয়ালন্দ-পার্বতীপুরগামী ৫১১ নম্বর লোকাল ট্রেনটি। কিন্তু দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টস ম্যানের অবহেলায় ভুল সংকেতের কারণে সেই এক নম্বর লাইনেই ঢুকে পড়ে সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৫৪২ নম্বর সৈয়দপুর-খুলনাগামী আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি। ফলে দুইটি ট্রেনের মুখোমুখি সংষর্ষের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় বিকট শব্দে পুরোপুরি দুমড়ে মুচড়ে যায় লোকাল ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি। পরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন ও স্থানীয়রা দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের উদ্ধার করেন। ওই মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে দেড় শতাধিক লোক মারা যায়। কিন্তু সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয় মাত্র ২৭ জনের নিহতের সংবাদ।
দুর্ঘটনার পরের দিন ১৪ জানুয়ারি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের ক্ষতিপুরণের আশ্বাস দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু ২৩ বছর পরেও আহত ও নিহতদের অনেক পরিবার ক্ষতিপূরণের সেই টাকা পায়নি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনও আলোর মুখ দেখেনি।
হিলি রেলওয়ে একতা ক্লাবের সভাপতি মো. আমজাদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ক্লাবের উদ্যোগে দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন ক্লাব চত্বরে প্রতিবছরের মতো এবারও দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে।