দুর্ঘটনায় আহত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিনু আশঙ্কামুক্ত

দুর্ঘটনায় আহত বিএনপি নেতা মিনুরাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং রাজশাহীর সাবেক সংসদ সদস্য ও মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত। তবে তাকে বিশ্রাম নিতে বলেছেন চিকিৎসকরা। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিনুর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চিকিৎসক বুলবুল আহমেদ জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বিশ্রামে থাকতে হবে তাকে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর সাধুর মোড় এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মিনু। আহত অবস্থায় তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক বুলবুল আহমেদ আজ শনিবার জানিয়েছেন, কপালের ওপরে আঘাত পেয়েছেন মিনু। এতে কিছু অংশ কেটে গিয়েছে। সেখানে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তবে আঘাতটি গভীর নয়।
বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘মিজানুর রহমান মিনুকে ছয়দিন পর সেলাই কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই দিন কাটা স্থানে ড্রেসিং করাতে হবে। এছাড়াও তাকে সম্পন্ন বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে।’
এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার খবরে শনিবার সকাল থেকেই মিজানুর রহমান মিনুর বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকেন নেতাকর্মীরা। তারা মিনুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। এসময় মিনু সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
মিনুর দুর্ঘটনার কবলে পড়ার প্রসঙ্গে রাজশাহী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত বলেন, ‘মিজানুর রহমান মিনু শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাহেববাজার এলাকা থেকে অটোরিকশা যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। সাধুর মোড় এলাকায় সড়কের গতিরোধক পার হওয়ার সময় তার অটোরিকশা উল্টে যায়। তিনি মাথায় আঘাত পান। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিলেও রাতেই তিনি বাড়ি চলে যান।’
শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ দলের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। মেয়র বুলবুল তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং চিকিৎসা শেষে বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এসময় তার সঙ্গে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনসহ বিএনপি এবং এর সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতারাও ছিলেন।’
আরও পড়ুন-
বিএনপি একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দল: হানিফ
১৩ বছরেও কারুশিল্পী দুলালের তৈরি শহীদ মিনারটি পুনর্নির্মিত হয়নি