বিশ্ব নদী রক্ষা দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৪ মার্চ) বিকালে পাবনার চাটমোহর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বড়াল নদী রক্ষার দাবিতে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বড়াল নদীর নাব্যতা ফেরানো হবে জানিয়ে জনসভায় শাজাহান খান বলেন, ‘বড়াল নদীর নাব্যতা ফেরাতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। বড়াল নদীর সব বাঁধ ও স্লুইস গেট অপসারণ করা হবে, এই নদী খনন করা হবে।’ এই নদীকে মুক্ত করতে অবিলম্বে সীমানা নির্ধারণের জন্য তিনি নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
সভায় নৌমন্ত্রী আরও বলেন, ‘খুব শিগগিরই আরিচা থেকে পাবনা রুটে ফেরি চলাচল শুরু হবে। মাত্র ৬ কিলোমিটার নদী পার হয়ে খুব সহজেই ঢাকায় যাতায়াত করতে পারবে পাবনাসহ উত্তর জনপদের মানুষ। ঢাকায় যেতে যমুনা সেতু দিয়ে আর যাতায়াত করতে হবে না। এতে খরচ ও সময়— দুইই বাঁচবে।’ ১৮ মার্চ গাইবান্ধর বালাসী ঘাটের ফেরি সার্ভিসও চালু করা হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, বড়াল রক্ষা আন্দোলন, চলনবিল রক্ষা আন্দোলন, এএলআরডি, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি এবং এলডিও যৌথভাবে এই জনসভা আয়োজন করে। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান হাওলাদার, নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ড. আব্দুল মতীন, পাবনার জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক প্রমুখ।
চাটমোহর পৌরসভার মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলালের সভাপতিত্বে সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য ডা. অঞ্জন ভট্টাচার্য। সভা পরিচালনা করেন বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান।