নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত আলিফের পরিবারে শোকের মাতম

আলিফ (ফাইল ছবি)

নেপালে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার ২ দিন পর খুলনার আলিফের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত হয়েছে তার পরিবার। এ ২ দিন আলিফের পরিবারে সময় কেটেছে উৎকণ্ঠায়। বুধবার (১৪ মার্চ) আলিফের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ায় শোকের মাতম নেমে আসে পরিবারে।

আলিফের ভগ্নিপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৬ মাস আগে আলিফের বড় ভাই বিয়ে করেছেন। আলিফের বিয়েরও কথা চলছিল।’

জানা যায়, আলিফের মৃত্যুর খবর জানার পর খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতি গ্রামজুড়ে নেমেছে শোকের ছায়া। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার আলিফের খালু শাহাবুর রহমান নেপালে পৌঁছান। কিন্তু তাকে কোনও কফিন দেখানো বা হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন আলিফের বড় ভাই আশিকুর রহমান হামিম।

জিয়াউল হক মিলন নামে আলিফের এক বাল্যবন্ধু বলেন, ‘আলিফের মাস্টার্স পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার মধ্যে ১০ দিনের বিরতি থাকায় আলিফ সময় কাটাতে নেপাল যাচ্ছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে আলিফ ভারতে ছিল।’ 

জানা যায়, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা ও বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আলিফ ৩ ভাইয়ের মধ্যে মেজ। আলিফ বেলফুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং খুলনার আহসান উল্লাহ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ২০০৭ সালে আলিফ কাজের সন্ধানে সৌদিতে যান। ২০১০ সালে দেশে ফিরে খুলনা সিটি কলেজে ভর্তি হয়ে ডিগ্রি পরীক্ষা দেন। খুলনার বিএল কলেজ থেকে আলিফ এ বছর মাস্টার্স পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এখনও কয়েকটি পরীক্ষা বাকি।

উল্লেখ্য, সোমবার (১২ মার্চ) নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ (বিএস ২১১) বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় নিহত হন দেশি-বিদেশি ৫১ জন আরোহী। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত আরোহীদের মধ্যে আলিফ একজন।