আত্মগোপনে বাগেরহাটের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা

বাগেরহাটমাদকবিরোধী অভিযানের কারণে বাগেরহাটের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা আত্মগোপনে চলে গেছে। গত কয়েক দিনের অভিযানে বাগেরহাটে কোনও বড় ব্যবসায়ী আটক হয়নি। যারা আটক হয়েছে তারা প্রায় সবাই মাদকসেবী। অভিযানের ফলে ইয়াবাসহ অন্য মাদকদ্রব্যের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে বলে জানা গেছে। তবে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বলছে, গডফাদারদের কয়েকজন জেলে আছে। আর যারা বাইরে আছে তারা ঘরবাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়েছে।

এক সূত্রের দাবি, বাগেরহাট শহরের হাড়িখালী পুরাতন রেললাইন, হাড়িখালী পদ্মপুকুর পাড়, সদর হাসপাতাল এলাকা, মাঝিডাঙ্গার প্রগতি রাইসমিল এলাকা, সাবেক ডাঙ্গা, কান্দাপাড়া বটতলা এলাকা, মুনিগঞ্জ মহিলা কলেজ রোড, হরিণখানা পুরাতন রেলস্টেশন এলাকা, সোনাতলা, পচা দিঘির পাড়, খারদ্বার, আলিয়া মাদ্রাসা রোড, সম্মিলনী স্কুল মোড়, পুরাতন বাজার মীরেরবাড়ি এলাকা, পুরাতন রেলস্টেশন, কেবি বাজার চালতে তলা এলাকায় মাদক বিক্রির পয়েন্ট। অভিযানের কারণের এরমধ্যে কয়েকটি স্পট গুটিয়ে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। তবে অতি গোপনে বেশি দামে মিলছে ইয়াবা।

বাগেরহাট মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. শরিয়াতুল্লাহ বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তালিকায় ১০ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে তিনজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ফকিরহাটের আজিম মেম্বার, বাগেরহাটের মুক্ত মীর ও তার স্ত্রী রুলী বেগম এবং চিতলমারীর পান্না বিশ্বাস।’

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন বলেন, তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী অনেকেই অভিযানের খবর জেনে পালিয়ে গেছে। বাগেরহাট সদর উপজেলায় সেরকম কোনও বড় মাদক ব্যবসায়ী নেই। তারপরও অভিযান অব্যাহত আছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ সব সময় অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তবে অনেক মাদক বিক্রেতা পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে বাগেরহাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র তালুকদার আব্দুল বাকী বলেন, বাগেরহাট শহরসহ এর আশপাশ এলাকার প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা কেউ এখনও আটক হয়নি। হয়তো তারা আত্মগোপনে আছে। তবে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন:

অভিযানের মুখে ডিজিটাল পদ্ধতির আশ্রয়ে মাদক ব্যসয়ায়ীরা!

দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৯

 

 মাদকের মামলায় শাস্তি কী?

 দুর্গম সীমান্ত দিয়ে দেশে এখনও আসছে মাদক!