স্থানীয় জনগণের উদ্দেশে এমপি জগলুল হায়দার বলেন, ‘বর্তমান সরকার অবহেলিত মানুষের ভাগ্য বদলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আপনারা সবাই বুঝতে পারছেন। দেশ ও মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য সরকারের সব কর্মকাণ্ড অব্যাহত আছে। নদীভাঙনে কোনও মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। ভাঙন রোধে যা যা করা দরকার তাই করা হবে।’ এমপি ঘটনাস্থল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং বর্ষা মৌসুমের আগেই ভাঙন কবলিত স্থান সংস্কারের নির্দেশনা দেন। এসময় বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল, দলীয় নেতাকর্মী ও গণমান্য ব্যক্তিবর্গসহ এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও বেশ কয়েকবার এমপি জগলুলকে বিভিন্ন স্থানে মাটি কাটার কাজে অংশ নিতে দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বেড়িবাঁধের দুই তৃতীয়াংশ নদীতে চলে গেছে। বাকি অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। সামনের বড় জোয়ারে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া জুয়েলের কাঁকড়া হ্যাচারির সামনে দেওয়া রিংবাঁধ ছিদ্র হয়ে ভেতরে লোনাপানি ঢুকছে।’ তিনি আরও জানান, ‘দাতিনাখালী নাসির মোড়লের বাড়ি থেকে নদী ভাঙন অনেক বছরের সমস্যা। ইতোমধ্যে ভাঙনরোধে জাইকা প্রকল্পের অর্থায়নে স্থানীয় একটি এনজিও কাজ করেছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মাসুদ রানা জানান, ‘ওই এলাকায় ব্লক বসানোর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে এখনও পাঁচ মাস সময় লাগবে। এ মুহূর্তে বাঁধটি সংস্কার খুবই জরুরি।’