নিহত খালেক মৃধা গাবতলী গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, তালতলী উপজেলার গাবতলী গ্রামের নিজাম ফকিরের ছেলে হিরন ফকির শুক্রবার (২২ জুন) বিকালে নারী সংক্রান্ত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী শাহিন (১৫) নামের এক কিশোরকে মারধর করেন। এতে শাহিন অজ্ঞান হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঢাকায় থাকা শাহিনের বাবা খালেক মৃধা (৩৫) শনিবার সকালে বাড়িতে আসেন। তিনি হিরনের কাছে তার ছেলেকে (শাহিন) মারধরের কারণ জানতে চান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হিরন তার লোকজন নিয়ে খালেক মৃধাকে বেধড়ক মারধর করলে ঘটনাস্থলেই তিনি জ্ঞান হারান। পরে স্থানীয় লোকজন পার্শ্ববর্তী বগীরহাট ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নিজাম ফকির (৫৫), তার স্ত্রী খাদিজা বেগম (৪৫), পুত্র হিরন ফকির (১৮), হাবিব ফকির (৬০) ও খলিল ফকির (৩৫) বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। খবর পেয়ে বরগুনা থানার পুলিশ হাসপাতাল থেকে খাদিজা বেগম ও হাবিব ফকিরকে গ্রেফতার করে। আহতাবস্থায় নিজাম ফকির, খলিল ফকির ও হিরন ফকির পুলিশি হেফাজতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই জনকে বরগুনা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।