রবিবার (২৯ জুলাই) কুমাড়পাড়ার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘নেতাকর্মীদের ওপর মামলা ও তাদের আটক পূর্বপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আমার লোকজনকে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের সব সিটি করপোরেশনে মিডিয়ার সব মোটরসাইকেল চললেও এখানে সেটা বন্ধ করা হয়েছে। আমাদের মিডিয়াগুলোর কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। আমরা সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, অভিযোগ কার কাছে করবো? আপনারা যেখানে নিয়ন্ত্রিত, আপনারা বলেন, আপনারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন? নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসে প্রিজাইডিং অফিসার পরিবর্তন করে ফেলছে। জিজ্ঞাসা করলাম শেষ মুহূর্তে এসে কেন বদলি করছেন? বললেন, উনি তো অসুস্থ। কার স্বার্থে প্রিজাইডিং অফিসার চেঞ্জ করছেন। এমপি কী করে প্রচারণায় আসে?কী করছে নির্বাচন কমিশন।’
নির্বাচন কমিশনকে অথর্ব উল্লেখ করে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘যেখানে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে নির্বাচন কমিশন মানুষের মাঝে আস্থা আনতে পারতো। আমরা কীভাবে আস্থা রাখতে পারি? অনেকগুলো অভিযোগ আছে, যেগুলো মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে। ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে তারা (নির্বাচন কমিশন) সমস্ত শহরে প্রদক্ষিণ করছে। একটাও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তারা (আওয়ামী লীগ) স্টেজ বেঁধে প্রোগ্রাম করেছে। আমাদের জন্য আইন, তাদের জন্য আইন নাই।’
উল্লেখ্য, নির্বাচনকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস। সোমবার (৩০ জুলাই) ২৭ ওয়ার্ডের মোট ১৩৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।