উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সেন্টমার্টিনে পযর্টকবাহী জাহাজ চলাচল এবং মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) প্রায় ৩১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে জেটিটি নির্মাণ করছে। এ জেটিতে বিশ্রামাগার, শৌচাগার ও সাতটি সিঁড়ি রয়েছে। এছাড়াও জেটি ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে জেটিটির সামনের দিকে ৯০ মিটার দীর্ঘ ও ৬০ মিটার প্রস্থের গাড়ি পার্কিং স্পট রাখা হয়েছে। মেসার্স উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ৫৫০ মিটার লম্বা এ জেটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ায় স্থানীয়রা খুশি। তবে মিয়ানমারের অনাগ্রহের কারণে আপাতত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের জন্য এই জেটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
টেকনাফ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলী চৌধুরী মো. আসিফ রেজা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘাটটি পুরোপুরি প্রস্তুত হচ্ছে আরও দেড় মাসের মতো সময় লাগবে। জাহাজ ভেড়ার জন্য যে রাবারগুলো লাগানোর কথা ছিল সেগুলোর কাজ পুরোপুরে শেষ হয়নি। মূলত সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের জন্যই এই জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। কাজ শেষ হলে জেটির দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, ‘এই জেটির কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে। এগুলো দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে। আমরা আশা করছি আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচল শুরুর অনুমতি দেওয়া হবে। জাহাজ চলাচল শুরু হলেই এই জেটি উন্মুক্ত হবে বলে আশা করছি।’
তিনি আরও জানান, ‘জেটিটি এরইমধ্যে পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাছাড়া জেটির মাধ্যমে নাফনদীর মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছানো যায়, একারণেও পর্যটকদের কাছে এটি আকর্ষণের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এখানে স্থানীয় লোকজনের আনাগোনাও এখন চোখে পড়ার মতো। ট্রানজিট চালু হলে দু’দেশের লোকজনের পারাপারের সুবিধা তো আছেই, পাশাপাশি টেকনাফে নতুন একটি বিনোদনের ক্ষেত্র তৈরি হলো।’