নেত্রকোনায় মনোনয়নপত্র সংগ্রহে অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়েছে আ.লীগ

 

নেত্রকোনামনোনয়নপত্র সংগ্রহে নেত্রকোনায় অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ। জেলার ৫টি আসনের জন্য আওয়ামী লীগের ৮৭ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া বিএনপিসহ অন্যান্য দলেও রয়েছে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী। প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি,  এত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় দলীয়ভাবে গ্রুপিং সৃষ্টি হবে।আর ক্লিন ইমেজের প্রার্থীদের মনোনয়ন না দিলে জেলার ৫টি আসনে বিজয় ধরে রাখা কঠিন হবে।  

নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দূর্গাপুর) আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ২৬ জন। এ আসন  থেকেই সর্বোচ্চ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে ২৪ জন,  নেত্রকোনা-৩ ( আটপাড়া-কেন্দুয়া) আসনে ২০ জন, নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনে ৬ জন ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে ১১ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

ক্ষমতাসীন দল থেকে অনেক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতা জানান, এবার যদি জনপ্রিয় ব্যক্তিকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেওয়া না হয় তাহলে আসনগুলো হাত ছাড়া হতে পারে।

কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মনজুরুল হক তারা বলেন, ‘বর্তমানে রাজনৈতিক পরিবেশটা এমন হয়েছে যে, ব্যবসায়ী ও ধনাঢ্য ব্যক্তিরা হঠাৎ করে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে আসে। পরে দেখা যায়, প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা না থাকলেও প্রতীককে ভালোবেসে মানুষ ভোট দেয়। আর এমপি নিবার্চিত হয়ে তারা তৃণমূল আওয়ামী লীগ বা নেতাকর্মীদের কোনও খোঁজ  রাখেন না।’

এদিকে বিএনপি থেকে এবার ৫টি আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৩০ জন। নেত্রকোনা-১ আসনে ৪ জন, নেত্রকোনা-২ আসনে ৭ জন, নেত্রকোনা-৩ আসনে ৮ জন, নেত্রকোনা-৪ আসনে ৬ জন ও নেত্রকোনা-৫ আসনে ৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ওয়াজেদ আলী খান চাষি বলেন, ‘বর্তমানে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ছড়াছড়ি হওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো এমপি হয়েই অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করা। জনসেবা বা মানব সেবার মনোনিবেশ করবেন এমন চিন্তা নিয়ে কেউ আর রাজনীতিতে আসেন না। তবে দলগুলো যদি যোগ্য ও তৃণমূলে গ্রহণযোগ্য নেতাকে মনোনয়ন দিতেন তাহলে এই প্রবণতা কমে আসতো।’