রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি সালেহা ইয়াসমিন লাইলীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে দাবিনামা পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার রায়।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম জেলার সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে জেলার চারটি আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে তাদের নির্বাচনি ইশতিহারে ২০টি প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান বক্তারা। দাবিগুলো হলো- ১. চিলমারী থেকে ঢাকা রুটে ভাওয়াইয়া এক্সপ্রেস চালু, ২. ভূরুঙ্গামারী-নাগেশ্বরী, রৌমারী-রাজীবপুর ও কুড়িগ্রামের বাকি অংশে একটি করে মোট তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন, ৩. চিলমারী থেকে রৌমারী-রাজীবপুর নৌ রুটে ফেরি সার্ভিস চালু, ৪. সোনাহাট থেকে কুড়িগ্রাম ও রৌমারী থেকে জামালপুর রেল লাইন চালু, চিলমারী নদীবন্দর বাস্তবায়ন, ৫. রৌমারীকে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করা, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর স্থাপন ও রৌমারীকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করা, ৬. ব্রহ্মপুত্রসহ সব নদ-নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে কৃষি জমিসহ প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষা করা, ৭. ব্রহ্মপুত্রের খনিজ সম্পদ ব্যবহার করে কাঁচ শিল্পসহ অন্যান্য শিল্প স্থাপন এবং বাকি বালু দিয়ে ব্রহ্মপুত্রের দুই পাশে শহর গড়ে তুলে চরবাসীকে আধুনিক জীবনের সাথে যুক্ত করা, ৮. ব্রহ্মপুত্রে চরে হারিয়ে যাওয়া বন পুনরুদ্ধার করে বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য সৃষ্টি ও মাছ-পাখি-কাছিম-শুশুকের বাস্তুসংস্থান নিশ্চিত করা, ৯. ৩শ’ মেগাওয়াট সম্পন্ন কয়েকটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা, ১০. আগামী ৫ বছরে রাষ্ট্রীয় খরচে ৫ লাখ শ্রমিককে বিদেশে পাঠানো, ১১. লালমনিরহাটে বিমানবন্দর ও আধুনিক রেলকারখানা স্থাপন, ১২. নাগেশ্বরীর রায়গঞ্জ হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিণত করা, ১৩. কুড়িগ্রাম জেলাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা ও ব্রহ্মপুত্রের তীর ধরে উলিপুর-চিলমারী ব্যাপী মেরিন ড্রাইভ সড়ক স্থাপন করা, ১৪. চর গবেষণাকেন্দ্র স্থাপন করা, ১৫. হাটগুলোতে সরকারি ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন ও হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, ১৬. চিলমারী-হরিপুর সেতুর নকশায় রেলপথ যুক্ত করা, ১৭.দেশের প্রতিটি উপজেলায় সরকারি গ্রন্থাগার স্থাপন ও অডিটরিয়ামগুলোকে সংস্কার করা এবং প্রতিটি জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘর স্থাপন, ১৮. দেশের প্রতিটি উপজেলায় সরকারি গ্রন্থাগার স্থাপন ও অডিটোরিয়ামগুলোকে সংস্কার করা এবং প্রতিটি জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘর স্থাপন, ১৯. মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে গরীব কৃষকদের রক্ষা এবং এনজিও ঋণের পরিবর্তে সরকারিভাবে কৃষি ঋণের নিশ্চয়তা দেওয়া ২০. সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্পে দেশজ ও আঞ্চলিক জ্ঞানের ব্যবহার নিশ্চিত করা ও এলাকাবাসীর সুবিধা-অসুবিধার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কাজ করা এবং কাজের তদারকির দায়িত্ব স্থানীয় জনগণের হাতে দেওয়া।
‘সংগঠিত জনগণই ইতিহাসের নির্মাতা’ এ স্লোগানকে ধারণ করে রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার পক্ষ থেকে এই দাবিগুলো প্রতিশ্রুতি আকারে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনি ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোমেন রিপন, রশিদ মিয়া সহ জেলা ও উপজেলা কমিটির অন্যান্য নেতারা।