১০ মাসে ধর্ষণের শিকার ৬৪৬ জন

‘নারী ও কন্যা নির্যাতন এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারাএ বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ধর্ষণের শিকার ৬৪৬ জন এবং গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৬৫ জন নারী ও শিশু বলে তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পরিসংখ্যান মতে। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আয়োজনে ‘নারী ও কন্যা নির্যাতন এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।
মতবিনিময় সভায় লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ১৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানুয়ারি থেকে অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৬৪৬ জন, গণধর্ষণের শিকার ১৬৫ জন, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ৫৩ জন, ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১১৫ জনকে, শ্লীলতাহানির শিকার ৫৫ জন, যৌন নির্যাতনের শিকার ১৪১ জন, উত্ত্যক্তকরণের শিকার ১৪০ জন, উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১৪ জন এবং অন্য বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩ হাজার ৫০২ জন নারী। 

লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশের অর্থনৈতিক বিকাশের পাশাপাশি সামাজিক বিকাশ সমভাবে না হওয়ায় নারীর প্রতি প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন সেই অনুপাতে হয়নি। নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সরকার, নারী ও মানবাধিকার সংগঠন, উন্নয়ন সংস্থা আগের তুলনায় আরও সংগঠিতভাবে বহুমাত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করলেও বিগত বেশ কয়েক বছর যাবৎ তাদের প্রতি বর্বর, লোমহর্ষক নির্যাতনের ধরন ও মাত্রা উদ্বেগজনক।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, যৌন হয়রানি তথা সকল প্রকার নারী ও কন্যা নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা, জোরালো প্রতিরোধ ও প্রতিকার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এছাড়াও মানবতার বিরুদ্ধে সংগঠিত সকল প্রকার অনাচার ও সহিংস আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের সংস্কৃতি গড়ে তোলা ও এ লক্ষ্যে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নারী ও কন্যা নির্যাতন এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ করে নির্যাতনমুক্ত পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আয়শা খানম, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উপদেষ্টা সেলিনা খালেক, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. মাখদুমা নার্গিস ও নাহার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু প্রমুখ।