নসিমন চালককে পিটিয়ে আটক মেয়র ১২ ঘণ্টা পর মুচলেকায় মুক্ত

নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক নসিমন চালককে পেটানোর ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর আটক হয়েছিলেন পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান। তবে আটকের ১২ ঘণ্টা পর মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। ‘জীবনের আর এমন কাজ করবেন না’ এমন মুচলেকা দিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় তেকে ছাড়া পান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার কিশোর ও তার পরিবার মামলা করতে রাজি হয়নি। এ কারণে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত সোমবার দিনগত রাত ১টার দিকে সোনারগাঁয়ের গোয়ালদীতে নিজ বাড়ি থেকে ডিবি ও সোনারগাঁ থানা পুলিশ মেয়র সাদেকুর রহমানকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে আসে। এসময় তিনি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নসিমন চালককে পেটানোর সত্যতা স্বীকার করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, ‘মারধরের শিকার নসিমন চালক জামাল হোসেন মামলা বা আইনগত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়া বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষই আপস মীমাংসা করেছে। এছাড়াও আটককৃত সত্তরোর্ধো মেয়রের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে এবং এ ধরণের ঘটনা আর ঘটাবেন না বলে মেয়র মুচলেকা দেন। তাই তাকে মঙ্গলবার বেলা ২টায় ছেড়ে দেওয়া হয়।’

উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়র মো. সাদেকুর রহমান গাড়িতে চড়ে বাসায় ফেরার সময় সোনারগাঁও জাদুঘরের সামনে বাঁশ বোঝাই একটি নসিমনের সঙ্গে তাকে বহনকৃত গাড়িটির সংঘর্ষ হয়। এতে বাঁশের আঘাতে গাড়িটির এক পাশে আঁচর লেগে রঙ উঠে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাদেকুর রহমান গাড়ি থেকে নেমে লাঠি দিয়ে চালক জামাল হোসেনকে আঘাত করেন। এ সময় ওই চালক অপরাধ শিকার করে মেয়রের পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েও রক্ষা পায়নি। এমনকি ওই সময় ওই চালকের ভাগ্নেকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইরাল হয়। পরে বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসলে সোমবার রাত ১টায় গোয়ালদীর নিজ বাড়ি থেকে মেয়রকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে এনে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মঙলবার তিনি ছাড়া পেলেন।