সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ১১টা ২০ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে কুমুদিনী কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছাবেন। স্বর্ণপদক প্রদান ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মির্জাপুরের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করবেন। বিকাল ৩টায় তিনি মির্জাপুর ত্যাগ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে তার ছোট বোন শেখ রেহেনা এবং মন্ত্রিপরিষদের একাধিক সদস্য উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে মির্জাপুরসহ সারা টাঙ্গাইলে। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে কুমুদিনী হাসপাতাল, ভারতেশ্বরী হোমস, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল অ্যান্ড বিএসসি নার্সিং কলেজসহ কুমুদিনী কমপ্লেক্সের সেবাধর্মী বিভিন্ন ইউনিট, এমনকি পুরো মির্জাপুর উপজেলা। কুমুদিনী হাসপাতালের মূল ভবনের দক্ষিণ পাশে সম্প্রতি নির্মাণ করা হয়েছে দানবীর রনদা প্রসাদ সাহার মুড়ালসহ বিভিন্ন স্থাপনা। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে কুমুদিনী কমপ্লেক্সের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ।
‘রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদক’ ২০১৯-এ ভূষিত হচ্ছেন দেশের চার বরেণ্য ব্যক্তি। টাঙ্গাইলের কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার স্মরণে এ পদক দেওয়া হবে। এই চার বরেণ্য ব্যক্তিরা হলেন- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে (মরণোত্তর) ও জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদক-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠান ছাড়াও ওইদিন কুমুদিনী হাসপাতাল, ভারতেশ্বরী হোমস, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল অ্যান্ড বিএসসি নার্সিং কলেজসহ কুমুদিনী কমপ্লেক্সের সেবাধর্মী বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করবেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখান থেকে জেলার বেশ কয়েকটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেরও উদ্বোধন করবেন।’
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মিজানুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টা ২০ মিনিটে হেলিকপ্টারে মির্জাপুরে অবতরণ করবেন।’
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কুমুদিনী কমপ্লেক্সসহ পুরো মির্জাপুরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওইদিন বেশ কয়েকটি স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।’
প্রসঙ্গত, উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানবীর, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণের অগ্রপথিক দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা। তার জন্ম টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। আজীবন আর্ত মানবতার সেবায় কাজ করেছেন তিনি। টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ দাতব্য চিকিৎসালয়। মহান মুক্তিযুদ্ধেও রয়েছে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদাররা তাকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ গুম করে।