বেলা পৌনে ২টার দিকে শহরের নারুলী উত্তরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ভোটারদের উপস্থিতি খুব কম। এ সময় এক নিরাপত্তায় নিয়োজিত এক আনসার সদস্যকে বারান্দার বেঞ্চের ওপর ঘুমাতে দেখা যায়। ২টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে ভোট পড়ে মাত্র ২৮৪টি। প্রিজাইডিং অফিসার নিখিল চন্দ্র বসাক সাংবাদিকদের জানান, তার কেন্দ্রে মোট দুই হাজার ৮৪৪ ভোটার।
আনসার সদস্য আবদুর রহিম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ভোটার উপস্থিতি অনেক কম। বসে থাকলে ক্লান্তি এসে যায়। তাই কেউ কেউ ঘুমিয়ে পড়েছেন।
আশপাশের কেন্দ্রগুলোতেও ভোটার উপস্থিতি অনেক কম ছিল। কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টদের দেখা যায়। এছাড়া সরকারদলীয় ছাড়া অন্য প্রার্থীদের এজেন্ট ছিল না।
সকালে সদরের বেলঘড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই আনসার সদস্যকে দোলনায় দুলতে দেখা গেছে। বেলা সাড়ে ১১টায় ওই কেন্দ্রে ভোট পড়ে মাত্র ১৩টি।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান, তার কেন্দ্রে মোট ভোটার দুই হাজার ৪০০ জন। ছয়টি বুথে কাঙ্ক্ষিত ভোট পড়েনি। তাই তারা অলস সময় অতিবাহিত করেন। সাড়ে ৩ ঘণ্টায় ভোট সংগ্রহ হয়েছিল মাত্র ১৩টি।
এই কেন্দ্রের মাঠে শিশুশিক্ষার্থীদের বিনোদনের জন্য দোলনা রয়েছে। ভোটার না থাকায় দুই আনসার সদস্যকে ওই দোলনায় দোল খেতে দেখা যায়। সাংবাদিক দেখে তারা লজ্জা পান। এ ব্যাপারে তারা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।