গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ আরও বলেন, ‘সরকার ও প্রশাসনের বডি ল্যাংগুয়েজ বলে দিচ্ছে আগামী ২৪ জুনের উপনির্বাচন নিরপেক্ষ হবে। আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর তেমন প্রচারণা নেই। শহরের কেন্দ্রস্থল ছাড়া কোথায় পোস্টার চোখে পড়ছে না। তবে বিভিন্ন স্থানে লাগানো আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে। এটা দুঃখজনক।’
কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে বগুড়ার উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীকে ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা কোনও সহায়তা বা ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবে না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, ‘এ আসনে গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জামায়াতের সমর্থন ছাড়াই মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুই লক্ষাধিক ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই উপনির্বাচনে তারা সহযোগিতা না করলেও আমি নির্বাচিত হবো।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বগুড়া সদর আসনটি খালেদা জিয়ার ও তার পরিবারের। তাই এ আসনের ভার অনেক বেশি। এ আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে আমাকে মনোনীত করায় আমি কৃতজ্ঞ।’
ইভিএম মেশিনে কারচুপি হলে ফলাফল মেনে নেবেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে সিরাজ বলেন, ‘তখন সেটা জনগণ বলবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান হারেজ, রেজাউল করিম বাদশা, জয়নাল আবেদীন চাঁন, সিপার আল বখতিয়ার, কেএম খায়রুল বাশার, ছাত্রদল সভাপতি আবু হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।