জনসম্মুখে গণশুনানি করেন দুদকের কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে এতটা দুর্নীতি হতো না।’ তিনি দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
গণশুনানির সময় অভিযোগকারীদের মঞ্চের একপাশে বসানো হয়। অপর পাশে অভিযুক্ত কর্মকর্তারা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিজের বক্তব্য পেশ করেন। মঞ্চের মাঝে ছিলেন দুদক কমিশনারসহ অতিথিরা। অধিকাংশ অভিযোগের তাৎক্ষণিক সমাধানের নির্দেশনা দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের। শুনানিতে কয়েকটি দফতরের অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া কয়েকটি জমিসংক্রান্ত অভিযোগে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিছু অভিযোগ তদন্ত করে দুদক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করে। জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। আবার কিছু অভিযোগ সুনির্দিষ্ট না হওয়ায় তা শুনানি থেকে বাদ দেওয়া হয়।
এ সময় গুরুতর এবং প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। চা কারখানাগুলোর অনিয়ম নিয়ে দুদকে অভিযোগ করলেও তা গণশুনানির তালিকাভুক্ত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্ষুদ্র চা চাষিরা।
এ সময় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার, দুদকের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক মনিরুজ্জামান খান, পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহমদ, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবু জেকেরসহ সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।