তিন বছর আগে পিলার হয়েছে, ব্রিজ আর হয় না

তিন বছল আগে নির্মিত এই সেই ব্রিজের পিলার

তিন বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজের দুটি পিলার। কিন্তু সেই ব্রিজের নির্মাণ কাজ আর শেষ হয়নি। নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের সর্বরামপুর-ভবানীপুর চৌতাপাড়ায় ঘটনা এটি। ফলে ওই এলাকার খালের দুই পাড়ের প্রায় ২০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

জানা যায়, রাণীনগর উপজেলার সদর থেকে ৭ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণে কাশিমপুর-গোনা ইউনিয়নে অবস্থিত রতনডারি খাল। বছরের বেশি ভাগ সময় এই খালে পানি থাকে। যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে ব্রিজ নির্মাণের কথা হলেও তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। তিন বছর আগে খালের দুই পাড়ে পিলার তৈরির পর ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

গ্রামবাসীর দাবি, রাণীনগর উপজেলা পরিষদের রাজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে রতনডারি খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালের মার্চ মাসে একটি দরপত্র আহ্বান করা হয়। নওগাঁ সদরের পার-নওগাঁ মহল্লার মো. গোলাম কিবরিয়া নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পান। এরপর শুষ্ক মৌসুমে ওই খালের দুই পার্শ্বে পিলার নির্মাণ কাজ শুরু হলেও শুধু খালের মধ্যে পিলার নির্মাণ করার পর রহস্যজনক কারণে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। তিন বছর অতিবাহিত হলেও এই ব্রিজটি নিমার্ণে দৃশ্যমান কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।

এনায়েতপুর গ্রামের বাসিন্দা সুরুজ মিয়া বলেন, তিন বছর ধরে চোখের সামনে আমরা শুধু পিলারই দেখছি। কিন্তু ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে না।

দূর্গাপুর গ্রামের কৃষক আক্কাস আলী বলেন, ব্রিজ না হওয়ায় প্রতিদিন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে বাড়তি খরচ হচ্ছে আমাদের।

ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলতাফ হোসেন বলেন, ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় রুগীদের নিয়ে বিপদে পড়তে হয়। তাছাড়া ছেলে মেয়েদের স্কুল-কলেজে যেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

রাণীনগর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান জানান, ব্রিজটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য আমি বারবার সংশ্লিষ্টদের কাছে ধরণা দিয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত ফুট ব্রিজের বাকি কাজ শুরু না হওয়ায় জনসাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর ইসলাম মিঞা বলেন, তিন বছর আগে যে পরিমাণ ব্যয় ধরে কাজ শুরু করা হয়েছিল তা পাইলিং-টাওয়ার নির্মাণ করতেই শেষ হয়ে গেছে। ওই ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করতে এখনও প্রায় ২৫ লাখ টাকা লাগবে।  আগামী অর্থ বছরে টাকা বরাদ্দ পেলে কাজটি শুরু হবে।