সিরাজগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট চলছে

সিরাজগঞ্জে বাস ধর্মঘটবাস চলাচলের রুট নিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে রাজধানী মহাখালির বাস মালিক নেতাদের দ্বন্দ্বের জের ধরে পূর্ব ঘোষিত আল্টিমেটাম অনুযায়ী সিরাজগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। তবে ধর্মঘট শুরুর পাঁচ দিন আগে থেকেই ঢাকার সঙ্গের সিরাজগঞ্জের বাস যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

গত দুই দিন ধরে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে মাইকিং করে ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানানো হয়। সিরাজগঞ্জ জেলা বাস সমিতির সভাপতি জিন্নাহ আলমাজি বলেন, ‘ঢাকার মহাখালী মালিক সমিতির অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ও সিরাজগঞ্জের বাস ঢাকায় চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে পূর্ব নির্ধারিত আল্টিমেটাম অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে জেলায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। ধর্মঘট চলাকালে বাস, ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে। চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য প্রশাসনকে আমরা তিনদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো মানা হয়নি। যার কারণে আমরা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছি। আগামীতে কঠোর আন্দোলরে প্রস্তুতি চলছে।’

অপরদিকে রাজধানী মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, ‘মহাখালীতে তিনটি কাউন্টারে সিরাজগঞ্জের ৬০/৭০টি গাড়ি দীর্ঘদিন থেকেই চলাচল করছে। পক্ষান্তরে আমাদের একটি গাড়িও সিরাজগঞ্জ-ঢাকা রুটে নেই। ঢাকা-সিরাজগঞ্জ রুটে সেবা লাইন চালু করার জন্য গত তিনমাস ধরে সিরাজগঞ্জের মালিক নেতাদের পেছনে পেছনে ঘুরেও কোনও সুরাহা হয়নি। গত ৯ জুলাই (মঙ্গলবার) সিরাজগঞ্জ ডিসি সাহেবের সঙ্গে আলোচনা শেষে আমরা তাদের ঢাকায় বসে আলোচনার প্রস্তাব দেই। তাতেও কোন সাড়া মেলেনি। এমনকি বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মহোদয় ঢাকায় তার কার্যালয়ে আলোচনার জন্য তাদের চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও তারা রাজি হননি। উল্টো এরইমধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে কড্ডায় উত্তরবঙ্গগামী সব গাড়িকে ব্যারিকেড দিয়ে স্টাফদের মারধর ও বাসের গ্লাস ভাঙচুর করেছে। একতরফা শুধু সিরাজগঞ্জের মালিকদেরই বাস চলবে, আমাদের একটিও চলবে না।’

এদিকে, ধর্মঘটের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন ঢাকার রুটে চলাচলকারী সিরাজগঞ্জের যাত্রীরা।