নন্দীগ্রামে গাছ থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ

বগুড়া

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ময়ুরী বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২১ জুলাই) সকালে নন্দীগ্রাম কলেজপাড়ায় বাড়ির পাশে একটি গাছ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। ময়ুরীর স্বজনদের দাবি, স্বামী ও অন্যরা তাকে হত্যা করে লাশ বড়ই গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে।

জানা গেছে, সুপারি ব্যবসায়ী মাসুদ রানা নন্দীগ্রাম উপজেলার কলেজপাড়ার ওসমান গণির ছেলে। তিনি প্রায় আট বছর আগে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাসলিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ময়ুরী বেগমকে বিয়ে করেন। ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। রবিবার সকালে স্বামীর বাড়ির পাশে বড়ইগাছে ময়ুরীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে জনগণ নন্দীগ্রাম থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর মাসুদ রানা ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন।

ময়ুরীর বাবা আনোয়ার হোসেন ও মা নুরজাহান বেগম জানান, শনিবার রাত ২টার দিকে জামাই মাসুদ রানা ফোনে তাদের জানান- ময়ুরী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

ময়ুরীর বাবা-মার দাবি, তাদের মেয়েকে নির্যাতন করা হতো। তাকে পিটিয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিতে বাড়ির পাশের গাছে গলায় রশি দিয়ে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।  

নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবির জানান, সুপারি ব্যবসায়ী মাসুদ রানা তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। বাড়ির পাশের গাছ থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়ুরীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে এটি হত্যা না আত্মহত্যা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ি থেকে সটকে পড়েছে।