ধারের টাকা ফেরত চাওয়ায় স্ত্রীর মাথা ফাটালেন খাদ্য কর্মকর্তা



বরিশাল

শ্বশুরবাড়ি থেকে নেওয়া ধারের তিন লাখ টাকা ফেরত চাওয়ায় নিজ স্ত্রীর মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে বরিশালের খাদ্য কর্মকর্তা হুমাউন কবিরের বিরুদ্ধে। তবে মারধরের কথা শিকার করলেও টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন ওই কর্মকর্তা।
স্ত্রী লাকী আক্তারের অভিযোগ, চাকরির পদোন্নতির কথা বলে তার পরিবারের কাছে টাকা নিয়েছিলেন তার স্বামী। সেই টাকা ফেরত চাওয়ায় গত এক মাসের বেশি সময় ধরে বাসার বাজার করা বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। এমনকি নিয়মিত বাসায়ও আসেন না। একারণে সোমবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের বিপরীত পাশে তার অফিসের সামনে যেয়ে এসবের কারণ জানতে চাইলে, ক্ষুব্ধ হয়ে ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে স্বামী। সেসময় ঊর্ধতন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে তাকে রক্ষা করেছেন বলেও জানান তিনি। লাকী আক্তার এখন শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট-৩ এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে যৌতুকের জন্য আমার ওপর নির্যাতন চালানোর দায়ে আমি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করি। ওই মামলায় সে (স্বামী) জেলও খেটেছে। পরবর্তীতে ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। ওই সময় আমার স্বামী সবার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিল যে, সে কোনোদিন আমার ওপর নির্যাতন চালাবে না। কিন্তু ওই ঘটনার কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় নির্যাতন। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান লাকী।
মেডিক্যালের সার্জারি ইউনিট-৩ এর সহকারী রেজিস্টার্ড ডা. মামুন বলেন, ‘তিনি আশঙ্কামুক্ত হলেও তাকে এক মাসের অধিক সময় চিকিৎসা নিতে হবে।’
স্ত্রীকে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে হুমাউন কবির বলেন, ‘আমি যেখানে কর্মরত আছি, সেখানে পদোন্নতির জন্য টাকার প্রয়োজন হয় না। তাদের কাছ থেকে আমি কোনও টাকা ধার করে আনিনি। এটা মিথ্যা কথা।’
খাদ্য কর্মকর্তার অভিযোগ, তার স্ত্রীর সঙ্গে বাকেরগঞ্জের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্ত্রী লাকী। তিনি বলেন, ‘টাকা চাইলেই বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ করেন তার স্বামী।’
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’