কিশোরীগঞ্জ থানা হাজতে মারা যাওয়া মামুনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

নীলফামারীনীলফামারীর কিশোরীগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২২) নামে এক যুবকের মারা যাওয়ার ঘটনায় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (১১ আগস্ট) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) অশোক কুমার পাল এ তথ্য জানিয়েছেন। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে তাকে গরু চুরির অভিযোগে আটক করে হাজতে রাখা হয়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সে হাজতখানার কাঁথা ছিঁড়ে গলায় জড়িয়ে আত্মহত্যা করে বলে পুলিশ জানায়।

নিহত মামুন উপজেলার সদর ইউনিয়নের যদুমনি গ্রামের মৃত হুজুর আলীর ছেলে।

অশোক কুমার পাল বলেন, ‘আত্মহত্যার খবর পেয়ে সৈয়দপুর উপজেলা ভূমি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকারের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলার মর্গে পাঠানো হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তার শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।’

এদিকে, নিহতের মা মলিনা বেগম (৪৫) জানান, তিনি থানা পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। তবে তাদের পক্ষে পুলিশের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ করা হয়নি।

কিশোরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ বলেন, ‘নিহত মামুন একজন মাদকসেবী ও ছিঁচকে চোর। তার বিরুদ্ধে জেলার জলঢাকা থানায় মাদকের মামলা রয়েছে। গতকাল এলাকাবাসী গরুসহ তাকে আটক করে।’

জানা যায়, পুলিশ দুপুর ২টার দিকে গরুসহ ওই মামুনকে নিয়ে এসে থানা হাজতে আটকে রাখে। এ ব্যাপারে তাকে আসামি করে থানায় গরু চুরির মামলা করা হয়। এই মামলার বাদী হয়েছেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আত্মহত্যার ব্যাপারে পুলিশের গাফিলতি পাওয়া গেলে, কোনও রকম ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা  অ্যাকশনে যাবো। এ ব্যাপারে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলাও হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর নিহতের লাশ পরিবারের কাছে দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হবে।’

আরও পড়ুন:  কিশোরীগঞ্জ থানা হাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যু, পুলিশের দাবি ‘আত্মহত্যা’