নকল মদ বানানো ও বিক্রির দায়ে গ্রেফতার ৫

ভেজাল মদ বানানো ও বিক্রির দায়ে আটক ৫

বিদেশি মদের খালি বোতল সংগ্রহ করে সেই বোতলে নকল মদ প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রির অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান নগর পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক।

তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার ৫ জন বিভিন্ন হোটেল, বার ও ক্লাব থেকে বিদেশি মদের খালি বোতল সংগ্রহ করে সেই বোতলে পানি, স্পিরিট, কোক, রঙ ও ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বিষাক্ত মদ তৈরি করে আসছিল। ১৩ আগস্ট নগরীর আকবর শাহ এলাকায় ভেজাল মদ খেয়ে তিন যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ এই ৫ জনের সন্ধান পায়। পরে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।’

গ্রেফতার ৫ জন হলো- মো. নাছিম উদ্দিন (২৩), মো. ইকরামুল হক (৩২), স্বপন পাল (৫১), মো. ইমরান ফয়সাল (২১) ও জাহেদুর রহমান আরজু (৩০)।

এদের মধ্যে ইকরামুল হক নগরীর লালদীঘির পাড়ের পুরাতন গির্জা এলাকায় ইকরা হোমিও ফার্মেসির মালিক, স্বপন পাল হাজারী গলির বিএস হোমিও সেন্টারের মালিক, ইমরান ফয়সাল নজির আহমদ চৌধুরী রোডের বন্দও প্রোডাক্টস নামে একটি প্রেসের মালিক এবং জাহেদুর রহমান আরজু পাহাড়তলী এলাকার সাগরিকা প্রেসের মালিক।

নগর পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক, ‘গত ১৩ আগস্ট নাছিম ও তার এক সহযোগীর কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা দিয়ে এক বোতল বিদেশি মদ কেনেন বিশ্বজিৎ মল্লিক নামের একজন। ওই মদ খেয়ে চার জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর মদের উৎসের অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। এর সূত্র ধরে মঙ্গলবার বিকালে আকবরশাহ কৈবল্যধাম মন্দিরের পাশ থেকে একটি বিদেশি মদের বোতলসহ মো. নাছিম উদ্দিনকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়।

নাছিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়- মদের বোতলটি আসল হলেও ভেতরের মদ নকল।

তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নকল মদ তৈরি প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত চার জনকে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘দুইশ টাকা খচর করে বানানো একটি মদের বোতল তারা দেড় হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতো। তারা মদের বোতলগুলো এমনভাবে প্যাকেট করা করে, এতে বোঝার উপায় নেই এটি আসল নাকি নকল।’