দিনাজপুরে গতকালের চেয়ে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে

দিনাজপুরের একটি খুচরো বাজারভারত থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। তবে গত মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার দিনাজপুরের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা করে। গত রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) একলাফে দাম বৃদ্ধি পায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। পেঁয়াজের এই আকস্মিক দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্রেতাদের মনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

রবিবার দুপুরে হঠাৎ করেই অভ্যন্তরীণ সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। দেশের অন্যতম স্থলবন্দর হিলি দিয়ে পুরনো এলসিতেও পেঁয়াজ দিচ্ছে না ভারত। হঠাৎ দাম বাড়ায় ক্রেতাদের মনে আসছে নানান প্রশ্ন। বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আড়তদাররা দাম বাড়িয়েছেন। তাই তারা বেশি মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।

ভারত থেকে আমদানি বন্ধের একদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা। রবিবার বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। পরদিন মঙ্গলবার দিনাজপুরের এনএ মার্কেটে প্রকারভেদে দেশীয় জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজও বিক্রি হয়েছে ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে, বুধবার একই বাজারে দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। হঠাৎ এমন দাম বৃদ্ধি ও ওঠানামাকে স্বাভাবিক মনে করছেন না ক্রেতারা। ক্রেতা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘বাজারে তো অনেক পেঁয়াজ। আড়তদারদের কাছে মজুতও আছে শুনেছি, এরপরও দাম বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক নয়। এজন্য প্রশাসনকে মাঠে নেমে সঠিক বিষয়টি উদ্ঘাটন করা উচিত।’

একই বাজারে ষাটোর্ধ্ব ক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশেও অনেক পেঁয়াজ আবাদ করা হয়। ভারত থেকে যৎসামান্য পেঁয়াজ আমদানি হয় শুনেছি। ভারত পেঁয়াজ না দিলেও দাম বৃদ্ধির কোনও কারণ নেই। কেন এটি হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা খুবই জরুরি। আমাদের জন্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি মোটেও সুখকর নয়।’

তবে বিক্রেতারা বলছেন, আড়তদারদের কাছ থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। এজন্য কিছু লাভ রেখে বেশি দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। এরপরও চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। খুচরা ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম জানান, পেঁয়াজ আড়তদারদের কাছ থেকে নেওয়া মূল্যের চেয়ে মাত্র তিন থেকে পাঁচ টাকা লাভ রেখে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন তিনি। এখানে খুচরা ব্যবসায়ীদের কোনও হাত নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক বিক্রেতা জানান, দাম বৃদ্ধির পর চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। আড়তদাররা তাদের চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ দিচ্ছেন না। এটি সত্যিই সংকট নাকি মজুত তা খতিয়ে দেখা উচিত।