পুরনো এলসির পেঁয়াজ আসবে, শুক্রবারও খোলা হিলি বন্দর

a3cade74d0f5c8f6645de74d24e7c504-57520fa67410b

পুরানো এলসিগুলোর বিপরীতে ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। তবে সেই আদেশের কপি হিলি কাস্টমসে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সীমান্তের ওপার থেকে পেঁয়াজ পাঠানো সম্ভব হয়নি। তবে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বন্ধের দিনও শুধু পেঁয়াজ আমদানির জন্য হিলি স্থলবন্দর খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন ও সহসভাপতি শাহিনুর রেজা শাহীন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তারা জানান, অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও দাম বৃদ্ধির ফলে গত রবিবার বিকালে হঠাৎ করে ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এ কারণে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রায় দেড় হাজার টন পেঁয়াজ ভারতে আটকা পড়েছে। 

রফতানি বন্ধের পর থেকেই পুরানো এলিসগুলোর বিপরীতে পেয়াজ রফতানি করতে আমরা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে আসছিলাম। সেই আলোকে বুধবার ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হওয়া পেঁয়াজের পুরানো এলসিগুলোর বিপরীতে পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেয় ভারত সরকার। কিন্তু সেই অনুমতির কপি ঠিক সময়ে ভারতের হিলি কাস্টমসে না আসায় পেঁয়াজ রফতানি শুরু হয়নি। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেই আদেশের কপি হিলি কাস্টমসে পৌঁছায়। তবে ততক্ষণে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানির সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা পেঁয়াজ রফতানি করতে পারেনি।

তবে রাতেই ভারতীয় ব্যবসায়ীরা একপত্রের মাধ্যমে আটকে পড়া সেই পেঁয়াজগুলো রফতানির জন্য শুক্রবার বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি চালু রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। সেজন্য শুক্রবার বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি রফতানি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।