প্রধানমন্ত্রী তো এই জ্বালা জানেন: আবরারের বাবা

আবরার ফাহাদ রাব্বীর বাবা বরকত উল্লাহবুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীর বাবা বরকত উল্লাহ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পিতা-মাতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। উনি তো এই জ্বালা জানেন। আমার সন্তানকেও নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমার সন্তানকে যেভাবে মেরেছে, উনি যদি নিজে দেখেন তাহলে উনি নিজেই বিচার করবেন।’ বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে জিলা স্কুলে আবরারের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বরকত উল্লাহ বলেন, ‘মামলার অগ্রগতি যতটুকু দেখছি তাতে আমি খুশি। আরও চাই যাতে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত হয়।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এফতে খাইরুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বি ২০১৫ সালে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের এসএসসি ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। তার সহপাঠী ও জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষের আয়োজনে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের ১৭ তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে। রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আবরার ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে। তার বাবা বরকত উল্লাহ একজন এনজিওকর্মী, মা রোকেয়া বেগম কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার বড়। তার ছোট ভাই ঢাকা কলেজের ছাত্র।