দুই-তিন দিনের মধ্যেই বসবে পদ্মা সেতুর ১৫তম স্প্যান

১২১

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের ২৩-২৪ নম্বর পিলারে স্থায়ীভাবে বসতে যাচ্ছে স্প্যান ‘৪-ই’। বুধবার (১৬ অক্টোবর) বা বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) স্প্যানটি বসানো হতে পারে বলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের একাধিক প্রকৌশলী জানিয়েছেন। ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই স্প্যান বসানো হলে সেতুর মোট দুই হাজার ২৫০ মিটার দৃশ্যমান হবে এবং সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ১৫টি বসানো সম্পন্ন হবে।  
সেতুর নির্মাণ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।  

এরই মধ্যে জাজিরা প্রান্ত থেকে পিলারে বসানোর উদ্দেশে ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি ৩ হাজার ৬০০ টন ধারন ক্ষমতার তিয়ান-ই ক্রেনে করে রওনা হয়েছে।

প্রকৌশলীরা বলেন, ‘৪-ই স্প্যানটি পদ্মা সেতুর ২৩ ও ২৪ নম্বর পিলারে স্থায়ীভাবে বসানোর জন্য সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে জাজিরা প্রান্ত থেকে রওনা হয়েছে। মাওয়ার কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে জায়গা না হওয়ার কারণে তৈরি দুটি স্প্যান জাজিরা প্রান্তে রাখা হয়েছিল। জাজিরা প্রান্ত থেকে রওনা দিয়ে এখন স্প্যানটি ২৮-২৯ নম্বর পিলারের কাছে নোঙর করা আছে। চ্যানেলে ড্রেজিং কাজ চলছে। ড্রেজিং কাজ সম্পূর্ণ করার ওপর নির্ভর করছে স্প্যানটি কবে বসবে। তবে, আশা করা যায় ১৬-১৭ তারিখের মধ্যে স্প্যান বসানো সম্ভব হবে।’

উল্লেখ্য, জাজিরাপ্রান্তে ১০টি স্প্যানের মোট ১৫০০ মিটার ও মাওয়া প্রান্তের তিনটি স্থায়ী ও একটি অস্থায়ী স্প্যান মিলে মোট ৬০০ মিটার হিসেবে সেতুর মোট ২ হাজার ১০০ মিটার দৃশ্যমান আছে। তবে স্প্যানগুলো ভিন্ন ভিন্ন মডিউলে বসানোর কারণে দৃশ্যমান অংশগুলো এক সারিতে নয় বরং বিচ্ছিন্নভাবে থাকবে।

প্রায় সাড়ে তিন মাস পর পদ্মা সেতুর পঞ্চদশ স্প্যান বসানোর কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রকৌশলীরা জানান, বর্ষাকালে পদ্মা নদীকে প্রচুর পলি আসে। চ্যানেলে পলি জমে চ্যানেল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তাই স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি নাব্য সংকটের কারণে চলতে পারে না। এজন্য স্প্যান বসানোর সিডিউল এভাবে নির্ধারণ করা হয়। ‘৪-ই’ স্প্যান ছাড়াও কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে আরও ৬টি স্প্যান প্রস্তুত আছে। এখন নিয়মিতভাবে আবার পিলারে স্প্যান বসানোর কাজ করা হবে।

জানা যায়, সেতুর রেলওয়ে স্ল্যাব বসেছে ৩৬১টি এবং প্রস্তুত আছে ২৮৮৫টি। অন্যদিকে, রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে ৫৩টি এবং প্রস্তুত আছে ১৫২০টি। পদ্মা সেতুতে ২৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব ও ২৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলীরা।