বালু ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে ৫০ শতক জমির পাকা ধানে আগুন!

পাকা ধান জড়ো করে আগুনবগুড়ার গাবতলীতে এক ব্যক্তির ৫০ শতক জমির পাকা ধানে আগুন দেওয়া হয়েছে। বালু ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে দুই দফা সংঘর্ষের পর প্রতিপক্ষের লোকজন এই অগ্নিসংযোগ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার নাড়ুয়ামালা ইউনিয়নের মধ্যকাতুলী নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনার পর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গাবতলী থানার ওসি সেলিম হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, গাবতলী উপজেলার মধ্যকাতুলী নয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে আবদুল মোমিনের সঙ্গে মধ্যকাতুলী দক্ষিণপাড়ার ইয়াকুব আলীর ছেলে নুরুন্নবীর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বালুর ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি মোমিন তার এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে বালু সরবরাহ দেন। এতে অপর বালু ব্যবসায়ী নুরুন্নবী ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হন। তারা ওই বালু তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় নুরুন্নবীর বাবা ইয়াকুব আলী গত ১৭ অক্টোবর গাবতলী থানায় মোমিনসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত তিন-চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর বুধবার মধ্যকাতুলী মাঠে আব্দুল মোমিন শ্রমিক নিয়ে তার ৫০ শতক জমির পাকা ধান কাটতে যান। এ সময় বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করে। তারা মারপিট করে শ্রমিকদের তাড়িয়ে দেন। এর ধারাবাহিকতায় ১৮ অক্টোবর শুক্রবার ভোরে আব্দুল মোমিনের জমিতে রাখা পাকাধান স্তুপ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

নাড়ুয়ামালা ইউনিয়নের মেম্বর মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ‘আব্দুল মোমিন ও নুরুন্নবীর মধ্য বালু ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার ভোরে কে বা কারা মোমিনের ৫০ শতক জমির কাটা পাকা ধান জড়ো করে আগুন দেয়। তবে কারা এর সঙ্গে জড়িত সে সম্পর্কে কিছু বলতে পারছি না।’ তিন জানান, মোমিন এ ঘটনার জন্য তার প্রতিপক্ষ নুরুন্নবী ও তার লোকজনকে দায়ী করছেন। তবে নুরুন্নবী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, তাকে ফাঁসাতে মোমিন নিজেই তার ধানে আগুন দিয়েছে।

এ ব্যাপারে গাবতলী থানার ওসি সেলিম হোসেন জানান, ‘মোমিনের ধানে আগুন দেওয়ার কথা শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মোমিনও মারপিট মামলার আসামি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’