ভ্যানচাপায় ছাত্রী নিহত, বিক্ষোভকারীদের মারধরের অভিযোগ

121রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী পিকআপ ভ্যানের চাপায় নিহতের পর বিচারের দাবিতে সড়কে নামেন শিক্ষার্থীরা। স্কুলের সামনে স্পিডব্রেকার নির্মাণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলাকালে তাদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানের বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম পিকআপ ভ্যানের চাপায় শিক্ষার্থী নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় সৈয়দপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী খাদিজা বেগমকে একটি পিকআপ ভ্যান চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় সে। ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা রংপুর-পীরগাছা ও সুন্দরগঞ্জ সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা রাস্তায় গাছ ফেলে গাড়ি চলাচলা বন্ধ করে দেয়। শিক্ষার্থীদের দাবি, ঘটনাস্থলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে, এর আগেও অনেকে এখানে আহত-নিহত হয়েছেন। বারবার বলার পরেও স্পিডব্রেকার নির্মাণ করা হয়নি। ব্রেকার নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে অবস্থান নেন তারা।

শিক্ষার্থীরা জানান, অবরোধের খবর পেয়ে পীরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমান ঘটনাস্থলে এসে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেন তিনি।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। তিনি বলেছেন, ‘কিছু বিপথগামী সন্ত্রাসী এ ঘটনাকে পুঁজি করে গাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা করেছিল, তাদের নিষেধ করেছি। তবে সে সময় শিক্ষার্থীরা ছিল না। এই অভিযোগ সত্য নয়।’

এদিকে, দুপুর সোয়া ২টার দিকে স্পিডব্রেকার নির্মাণের কাজ শুরু হলে এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ড্রাইভারের শাস্তির আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।

পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে রংপুর-পীরগাছা সড়কের সৈয়দপুরে স্পিডব্রেকার নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ছাত্রী নিহতের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।