মেঘনার চরে আটকে পড়া ৪৫০ যাত্রী উদ্ধার

মেঘনার চরে আটকে পড়া লঞ্চ শাহরুখ-২ বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ এলাকায় মেঘনা নদীর চরে আটকে পড়া ঢাকাগামী শাহরুখ-২ লঞ্চের ৪৫০ যাত্রীকে ৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার করে গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় পূবালী-১ নামে আরেকটি লঞ্চ যাত্রীদের উদ্ধার করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

নাব্য সংকটের কারণে শাহরুখ-২ লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার রাতে মেঘনার চরে আটকা পড়ে বলে দাবি করেছেন লঞ্চের মালিক।

শাহরুখ-২ লঞ্চের মালিক মাসুম খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকালে বরগুনা থেকে শাহরুখ-২ লঞ্চটি ৪৫০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে কালিগঞ্জ এলাকা অতিক্রমকালে ডুবন্ত চরে লঞ্চটি আটকে যায়। তখন স্টাফরা চর থেকে লঞ্চটি নামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে ভাটা শুরু হলে চর জেগে ওঠে। এ অবস্থায় অন্য একটি লঞ্চ পাঠিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও  বলেন, ‘লঞ্চের স্টাফরা জোয়ারের অপেক্ষায় রয়েছেন। জোয়ার আসার সঙ্গে সঙ্গে অন্য জলযান দিয়ে শাহরুখ-২ লঞ্চটি নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।’

আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করা হচ্ছেমাসুম খান আরও জানান, শীত মৌসুমে বরিশালের হিজলা উপজেলা ও চাঁদপুরের মধ্যবর্তী মেঘনার ‘মিয়ারচর’ চ্যানেলে নাব্য সংকট দেখা দেয়। এসময় ওই পথে নৌযান চলাচল করতে পারে না। এ কারণে বিআইডাব্লিউটিএ ওই চ্যানেলটি ব্যবহার না করার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ‍এজন্য বিকল্প পথ মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ চ্যানেল ব্যবহার করতে হয়। এতে তিন দশমিক চার নটিক্যাল মাইল পথ বেশি পাড়ি দিতে গিয়ে দেড়শ’ লিটার জ্বালানি অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু বিকল্প এই চ্যানেলও এখন নাব্য সংকটে পড়েছে।

বরিশাল নৌ-বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আজমল  হুদা মিঠু সরকার জানান, বরগুনা থেকে ঢাকাগামী শাহরুখ-২ লঞ্চটি ডুবন্ত চরে আটকে যায়। পরবর্তীতে যাত্রীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়। ওই কোম্পানির পূবালী-১ নামে আরেকটি লঞ্চ ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে শাহরুখ-২ লঞ্চের সব যাত্রী তুলে দেওয়া হয়। বুধবার ১১টায় পূবালী-১ লঞ্চটি শাহরুখ লঞ্চের যাত্রীদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। বিকালের মধ্যে পূবালী লঞ্চ যাত্রীদের নিয়ে সদরঘাটে পৌঁছে যাবে।

আজমল  হুদা মিঠু আরও জানান, চরে আটকে থাকা শাহরুখ-২ লঞ্চটিকে নদীতে নামানোর চেষ্টা চলছে। চ্যানেলের নাব্য সংকট দূর করতে শিগগিরই কাজ শুরুর কথাও জানালেন এই বন্দর কর্মকর্তা।