বেগম রোকেয়ার বাস্তুভিটা আর স্মৃতি কেন্দ্র ঘুরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্মৃতি কেন্দ্রটি পুনরায় চালু হওয়ায় এর দুই কর্মকর্তা দীর্ঘ ১৪ বছর পর আদালতের আদেশে চাকরি ফিরে পেয়েছেন। তবে এখানকার নাইট গার্ড দুজন চাকরি ফিরে পাননি। তারা এখন অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরি করছেন। স্মৃতি কেন্দ্রের সংগ্রহশালায় রোকেয়ার কোনও স্মৃতিচিহ্ন নেই। সব আলমারি ফাঁকা পড়ে আছে। গবেষণাগারটিও বন্ধ রয়েছে। সুদৃশ্য ভবনটির পলেস্তারা খসে পড়ছে। লাইব্রেরিতে নেই তেমন কোনও বইপত্র। হতদরিদ্র নারীদের স্বাবলম্বী করার জন্য আগে যে সেলাইসহ বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো তাও পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
স্মৃতি কেন্দ্রের উপপরিচালক ফারুক রহমান জানান, কেন্দ্রটি মেরামত ও সংস্কার করার জন্য গণপূর্ত বিভাগ আড়াই কোটি টাকার একটি প্রাক্কলন জমা দিলেও মন্ত্রণালয় এখনও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়নি। তাছাড়া আপাতত গান আর অঙ্কন শেখানো ছাড়া অন্য কোনও কর্মকাণ্ড নেই। তবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
স্মৃতি কেন্দ্রের পাশেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বেগম রোকেয়ার বাস্তুভিটার ওপর কোনও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করলেন পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে স্মৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এখন তার হস্তক্ষেপেই এর কার্যক্রম আবারও শুরু করা সম্ভব।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রোকেয়ার বাস্তুভিটা আর স্মৃতি কেন্দ্র দেখতে আসেন অনেকেই। তারা এই মহীয়সী নারীর স্মৃতির প্রতি অবহেলা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্মৃতি কেন্দ্রটি পুরোপুরি সচল করার দাবি স্থানীয়সহ সবার।