শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

2

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী পালন করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে ১৩ ফেব্রুয়ারি এই দিবস পালন করা হলেও এবার বাংলা দিনপঞ্জি পরিবর্তিত হওয়ায় ১৪ ফেব্রুয়ারি (বাংলা পহেলা ফাল্গুন) বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সকাল সাড়ে ৯টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সময়ের বিবর্তনে ২৯টি বছর অতিক্রম করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দূর এগিয়ে গেছে, দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে। পাশাপাশি উদ্ভাবনের দিক থেকেও আমারা সর্বোচ্চ স্থানে। শিক্ষা ও গবেষণার দিক থেকে শাবিপ্রবি এখন অনেক এগিয়ে। দেশ ও দেশের বাইরে সুনামের সাথে কাজ করছে আমাদের গ্রাজুয়েটরা।’

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ, প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো আনোয়ারুল ইসলাম, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মস্তাবুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম সাইফুল ইসলাম, নব নির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার, উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলামসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রভোস্ট, দফতর প্রধান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে কেক কাটার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

উল্লেখ্য, সিলেটের আখালিয়ায় ৩২০ একরের ওপর ১৯৯১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি (১ ফাল্গুন) ৩টি বিভাগ, ১৩ জন শিক্ষক ও ২০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। পথচলার ৩০ বছরে সেরা ডিজিটাল ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন স্বীকৃতি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির। সার্চ ইঞ্জিন পিপীলিকা ও রোবট তৈরিসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রয়েছে বিরাট সাফল্য।