দুর্লভ প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সীমান্তবর্তী একটি চা-বাগান থেকে দুর্লভ প্রজাতির একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্তের দুই পাশে কৃষি কাজের জন্য পাহাড়-টিলার বনজঙ্গল কেটে পরিষ্কার করা হচ্ছে বলে আবাসস্থল হারিয়ে বানরটি লোকালয়ে চলে আসে।

বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব জানান, ‘সম্প্রতি ধলই সীমান্তের হোসনাবাদ এলাকার ভারত-বাংলাদেশ অংশে চাষাবাদের জন্য পাহাড়-টিলার বন-জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করা হচ্ছে। এতে এ লজ্জাবতী বানরটির আবাসস্থলের সংকট তৈরি হয় বলে আমাদের ধারণা। ফলে বানরটি লোকালয়ে বেরিয়ে আসে। ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে হোসনাবাদ চা বাগান এলাকার বাসিন্দা হেলাল মিয়ার বসতঘরের পাশে বানরটি ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় একটি কুকুর তাকে তাড়া করে। তখন হেলাল মিয়া ঘর থেকে বের হয়ে বানরটিকে উদ্ধার করে আমার কাছে নিয়ে আসেন।’

তিনি জানান, বানরটি শারীরিকভাবে ভালো রয়েছে। তবে খাওয়া দাওয়া সঠিকভাবে না হওয়ায় একটু দুর্বল রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ নিয়ে সেবা ফাউন্ডেশনে চারটি দুর্লভ প্রজাতির লজ্জাবতী বানর রয়েছে বলে জানান সজল দেব।

মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মোনায়েম হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘লজ্জাবতী বানর নিশাচর এবং উঁচু বৃক্ষে বাস করে। এরা সাধারণত একা বা জোড়ায় ঘুরে বেড়ায়। গাছের ডালে এরা ধীরগতিতে চলাচল করে। ইংরেজিতে Bengal slow loris বলে পরিচিত। বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন চিকিৎসা সেবা দিয়ে বানরটিকে লাউয়াছড়া বনে অবমুক্ত করেছে। সরকারিভাবে এ ধরনের বিরল প্রাণীর পরিচর্যা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর কারণ আমাদের লোকবল সংকট।’